নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দলের তখন দুর্দশা। মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ঠিক পথে ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। চেষ্টা সফল হয়নি তার। ১৭ রান করে লঙ্কান পেসার দুশমন্থ চামিরার বলে আউট হয়ে যান তিনি। কিন্তু আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত সহজভাবে নিতে পারেননি তামিম। মেজাজ হারিয়ে মাঠে অপ্রীতিকর ভাষা ব্যবহার করেন তিনি। যে কারণে শাস্তি পেতে হলো তামিমকে। আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের ২.৩ ধারা ভাঙার দায়ে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানার শাস্তির সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়েছেন তামিম।
গতপরশু বিশ্বকাপ সুপার লিগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মিরপুরে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাটিং করে ২৮৬ রানের পুঁজি পায়। বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বাজে। দুষমন্ত চামিরার তোপে শুরুতেই নাঈম ও সাকিবকে হারায়। বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন তামিম। কিন্তু বাঁহাতি ওপেনার চামিরার তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
তবে তার আউট নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হয়। চামিরার ফুলার লেংথ বল ড্রাইভ করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন তামিম। অতিথিদের আবেদনে বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত তামিমকে আউট দেন। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন তামিম। কিন্তু আলট্রা এজে দেখা যায় ব্যাট মাটিতে লেগেছিল তখন হাল্কা এজ তৈরি হয়। তাতে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। ১৭ রানে তামিমের ইনিংসটি শেষ হয়।
রিভিউ ডিনাই হলে মাঠে ক্ষোভ ঝারেন তামিম। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখাতে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। আইসিসির ভাষ্যমতে, ‘তামিম খেলোয়াড়। খেলোয়াড় এবং খেলোয়াড় সহায়তা কর্মীদের আইসিসি আচরণবিধির ২.৩ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন, এটি ‘একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় অশ্লীল ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত।’ গত ২৪ মাসে তামিম প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন।
তামিম এই অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং আইসিসি ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদের প্রস্তাবিত অনুমোদন গ্রহণ করেছেন। তাতে আনুষ্ঠানিক শুনানির দরকার পড়েনি।
ম্যাচ শেষে তামিম জানান, তিনি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী তার ব্যাটে বল লাগেনি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন,‘আমি ১০০% নিশ্চিত ছিলাম আমার ব্যাটে বল লাগেনি। দুর্ভাগ্যজনক যে আমার ব্যাটের পাশ দিয়ে বল যাওয়ার সময় ব্যাট মাটিতে লাগে। এটাও আম্পায়ারের জন্য প্রায় অসম্ভব ছিল ওভারটার্ন করা। অনফিল্ড আম্পায়ার যদি আউট না দিত তাহলে ভিন্ন ঘটনা হতে পারতো। কিন্তু আমি ১০০% নিশ্চিত যে আমার ব্যাটে বল লাগেনি। খুবই হতাশার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।