গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনে সরকারি কর্মকর্তাদের (নন-একাডেমিক ব্যক্তি) নিয়োগ বাতিল ও স্বনামধন্য অধ্যাপকদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠনসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে । আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া। এসময় সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং এর আগে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে অতিরিক্ত সচিব নিয়োগসহ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সকল সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রত্যাহারের আহবান জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, গত ৫ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে একজন অতিরিক্ত সচিবকে (নন-একাডেমিক ব্যক্তি) নিয়োগ দিয়েছে। এই নিয়োগ বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের দর্শন ও মর্মবাণীর সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ নিয়োগে আমরা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, কোষাধ্যক্ষ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নন-একাডেমিক ব্যক্তিদের নিয়োগ দিলে উচ্চশিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতিরিক্ত সচিব তথা সরকারি কর্মকর্তার সাম্প্রতিক নিয়োগ উচ্চশিক্ষার গতি রোধ করবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশীজনদের সঙ্গে সরকারের বৈরী সম্পর্ক তৈরি করবে বলে আমরা আশংকা করছি।' তিনি আরও বলেন, "প্রায়শ উপাচার্যগণের মেয়াদ শেষ হবার পরেও নতুন উপাচার্য নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। কখনো কখনো কয়েক মাসেও উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয় না। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এমন দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে আছে, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগকৃত সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকে পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা; বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বিদ্যমান অসঙ্গতি বিশেষ করে ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অসঙ্গতিসমূহ দূর করা; প্রেসিডেন্টের অথবা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীনে স্বনামধন্য অধ্যাপকদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন করা; জাতীয় অধ্যাপক ও বরেণ্য শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ ও প্রথিতযশা অধ্যাপকদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষের শূন্য পদে অনতিবিলম্বে নিয়োগ প্রদান করা; ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেলের পরে সৃষ্ট বেতনের সমতাবিধান এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকদের মধ্য হতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ন্যূনতম ৫ শতাংশ সুপার গ্রেড নিশ্চিত করা এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আলাদা সরকারি ফেলোশিপ/স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা এবং গবেষণার জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা ও শিক্ষকতা পেশায় নিয়োগকালীন এবং পরবর্তীতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট সুবিধা পুনর্বহাল করা প্রভৃতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।