চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখা জায়েজ কি না? মুসলমানদের পক্ষে অমুসলিম দেশ কিংবা মুসলিম বিদ্বেষী দেশকে সমর্থন করা কেমন? অনেকে তাদের সমর্থিত দল বা পছন্দের খেলোয়াড়ের সাফল্য কামনা করে দান করেন বা রোজা রাখেন, এসব কি জায়েজ আছে?
উত্তর : ইসলামে নির্দোষ খেলাধুলা জায়েজ। শরীর গঠন, দুনিয়া বা আখেরাতের কোনো লাভ আছে এমন খেলা নাজায়েজ নয়। তবে খেলার সাথে জুয়া, মাদকদ্রব্য, অশ্লিলতা, যিনা-ব্যাভিচার, অপচয় ইত্যাদি মিশ্রিত হলে তখন আর সেটি জায়েজ থাকে না। বিশ্বকাপ ফুটবলের ক্ষেত্রে এ বিবেচনাগুলো সামনে রেখে বুঝে নিতে হবে। খেলা হিসাবে অমুসলিম বা মুসলিম বিদ্বেষী দেশকেও সহজ অর্থে সমর্থন করা যায়। তবে ধমীয় ও রাজনৈতিক সিরিয়াস চিন্তা-ভাবনা একে সমর্থন করে না। অমুসলিম দেশ বা দল অথবা পছন্দের খেলোয়াড়ের সফলতার জন্য ইসলামী বিধান ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এতে শরীয়তের সাথে হালকামি পূর্ণ আচরণ করা হয়। খেলাকে খেলা হিসাবেই নেওয়া উচিত। এ সীমারেখা পর্যন্ত জায়েজ হওয়ার সুযোগ থাকতে পারে। কিন্তু মুসলমানের ঈমানী চেতনা ও বৈশ্বিক রাজনীতির আলোকে বিচার করলে ফুটবল ও ক্রিকেট বিশ্বকাপ ইত্যাদি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
প্রশ্ন : অনলাইনে/ফোনে কোনো ছেলে বা মেয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে এবং পরে তা অস্বীকার করলে কি গোনাহ হবে?
উত্তর : শুধুমাত্র বিবাহের উদ্দেশ্য থাকলেই শরীয়ত সম্মত ও ভদ্রোচিত উপায়ে ছেলে মেয়ে প্রপোজ করতে পারে। এক্ষেত্রে অভিভাবক জড়িত থাকা বাঞ্ছনীয়। একা একা দু’টি ছেলে মেয়ে সামনাসামনি (এখন যাকে লোকেরা ‘অফলাইন’ বলে), অনলাইনে, ফোনে বা অন্য কোনো উপায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া নিজেই একটি বড় গোনাহের কাজ। এরপর আসে তা অস্বীকার করার প্রশ্ন। এখানে তো নতুন আরেকটি অনৈতিকতা পাওয়া গেল। মিথ্যা বলা, বিশ্বাসঘাতকতা করা, প্রতারণা করা। নিজেই ভেবে দেখুন এখানে কী পরিমাণ গোনাহর সমাবেশ ঘটেছে। যে কাজটি গোনাহ দিয়ে শুরু এর শেষও গোনাহ দিয়েই হয়। যদি না কেউ আল্লাহর ভয়ে এটিকে নেকীর দিকে পরিচালিত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।