নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তিন ম্যাচকে সামনে রেখে কাতার যাওয়ার আগে ঘরের মাঠে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রচন্ড রোদ ও গরম উপেক্ষা করেই লাল-সবুজের ব্রিটিশ প্রধান কোচ জেমি ডে প্রতিদিন শিষ্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন। জিততে হলে গোল চাই- এই মন্ত্র নিয়ে মাঠের অনুশীলন শুরু করলেও প্রস্তুতি ক্যাম্পের শেষ দিকে এসে বুধবার জেমিকে দেখা গেছে রক্ষণভাগ নিয়ে কাজ করতে। অনুশীলনের শুরু থেকে তিনি বেশি কাজ করেছেন দলের আক্রমণভাগ নিয়ে। বাছাইয়ের ম্যাচে কাতারে বাংলাদেশ দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ভূমিকা কেমন হবে, তা নিয়ে বিস্তর কাজ করেছেন এই ব্রিটিশ। এবার তার চোখ পড়লো ডিফেন্ডার রহমত মিয়াদের উপর।
বুধবার অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রহমত বলেন, ‘অনেক দিন আক্রমণভাগ নিয়ে কাজ হয়েছে। আজকে কোচ কাজ করেছেন আমাদের ডিফেন্স কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে। বিশেষ করে কর্নার কিক, থ্রো-ইন এবং আমরা যখন বল মিস করবো, তখন আমাদের পদক্ষেপটা কী হওয়া উচিত।’
বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ তিন ম্যাচকে সামনে রেখে দলের প্রস্তুতি কেমন হয়েছে? এ সম্পর্কে রহমত মিয়ার বক্তব্য,‘ দল যেভাবে পেরেছে, সেভাবে করেছে অনুশীলন। আমরা চেয়েছিলাম সউদী আরব গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। কিন্তু তা পারিনি। পারলে সেটা দলের জন্য অনেক ভালো হতো। কারণ শুধু প্র্যাকটিস করে যদি কোনো প্রতিদ্বন্ধিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামা হয়, ভুল শুধরানো যায়না। আর কোনো প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে পারলে ভুলগুলো আগেই চিহ্নিত করা যায়। প্রতিদ্বন্ধিতামূলক ম্যাচ খেলার আগেই আমরা বুঝতে পারবো কী করা উচিত বা কী করলে ভালো হবে। তাই মনে করি, কাতারে মাঠে নামার আগে আমাদের কিছু ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলা উচিত ছিল।’
বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে কাতার যাওয়ার আগে বুধবারই ছিল বাংলাদেশ দলের শেষ অনুশীলন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচ খেলবে জাতীয় দল। ম্যাচটি ক্লোজডোর অনুষ্ঠিত হবে। কাতার সফরের আগে এই ম্যাচ নিয়ে বাড়তি সতর্কতায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। শেখ জামালের ফুটবলার এবং রেফারি সহ সংশ্লিষ্ট সবাই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই মাঠে নামবে। জামালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে রহমত মিয়া বলেন, ‘ফ্রেন্ডলি ম্যাচ ফ্রেন্ডলিই। এখানে প্রতিপক্ষ কারা? ভালো না খারাপ সেটা বিষয় না। বড় কথা হলো আমরা কিভাবে ভুলগুলো চিহ্নিত করবো এবং তা শোধরাতে পারবো তা দেখা।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তিন প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, ভারত এবং ওমান শক্তিতে এগিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে। এ অবস্থায় তিন ম্যাচেই বড় পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হতে পারে লাল-সবুজের ডিফেন্ডারদের।
এ প্রসঙ্গে দেশের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রহমত বলেন, ‘প্রত্যেকটা টুর্নামেন্ট বা ম্যাচের আগে একটা প্রতিকূলতা কাজ করে দলের মধ্যে। যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন, খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের একটা ফোকাস থাকে যে, আমরা ক্লিন শিট রাখার চেষ্টা করবো। গোল যত কম হজম করা যায় এবং ম্যাচ জিততে পারি সেদিকে নজর রাখতে হবে। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের সবাইকে নিজেদের এগুলো ঠিক করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার শেখ জামালের বিপক্ষে ক্লোজডোর প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বাছাইয়ের বাকি তিন ম্যাচ খেলতে শুক্রবার সকাল ১১টায় কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে দোহার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে ৩৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল। দলে ২৫ ফুটবলার এবং কোচ ও কর্মকর্তা মিলিয়ে আরও ১০ জন থাকছেন। দোহায় ৩ জুন আফগানিস্তান, ৭ জুন ভারত ও ১৫ জুন ওমানের বিপক্ষে খেলবে লাল-সবুজরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।