Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হোয়াটসঅ্যাপের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ৪:০৭ পিএম

ভারতের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। কেন্দ্রের নতুন ডিজিটাল আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। ভারত সরকারের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি বিধি গ্রাহকদের প্রাইভেসি ও তথ্য সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক বলে অভিযোগ তাদের।

বুধবার থেকে সমস্ত ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কনটেন্টের উপর জারি হতে চলেছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা। এই গাইডলাইনের বিরুদ্ধেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে ফেসবুকের মালিকানাধীন এই সংস্থা। হোয়াটসঅ্যাপ-এর দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রের জারি করা নতুন এই গাইডলাইনে বিপদে গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষা। এই গাইডলাইনের একটি নিয়ম ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত গোপনীয়তার অধিকারের পরিপন্থী। এর ফলে ভারতের ৪০০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৪০ কোটি জনগণের অধিকার লঙ্ঘিত হবে বলে আদালতকে জানিয়েছে এই সংস্থা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকালেই সংস্থার তরফে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।

নতুন ডিজিটাল বিধিতে বলা হয়েছে কোনও ফেক নিউজ পরিবেশিত হলে যেই ব্যক্তি প্রথম পোস্ট করেছেন, তার নাম পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। সংস্থার বক্তব্য, হোয়াটস অ্যাপ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ফিচার ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে এই ফিচার লঙ্ঘিত হবে। একইসঙ্গে ফেসবুকের অধীন এই সংস্থার দাবি, কোনও মেসেজের সোর্স বার করতে গেলে গ্রাহকদের চ্যাটে নজরদারি চালাতে হবে সংস্থাকে, যা হোয়াটস অ্যাপের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন এর পরিপন্থী। এই মর্মেই আদালতের দ্বারস্থ হোয়াটসঅ্যাপ। তবে এর আগে সংস্থার প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল এ বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচলা চলছে। অন্যদিকে, নতুন ডিজিটাল বিধিতে হোয়াটস অ্যাপ আপত্তি জানালেও মঙ্গলবারই এই বিধিতে সম্মতি জানিয়েছে ফেসবুক।

উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। তিন মাসের সময়সীমা দিয়ে সেই নির্দেশিকা প্রয়োগ করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হতে চলেছে ২৬ মে অর্থাৎ আজ বুধবার। সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রয়োগ রুখতে এই গাইডলাইন তৈরী করে কেন্দ্র। এই গাইডলাইন না মানলে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়া কনন্টেন্টে রাশ টানতে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়- ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য ত্রিস্তরীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে আসা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এবং রবিশঙ্কর প্রসাদ একটি সাংবাদিক বৈঠক করে সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের নতুন গাইডলাইন নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিজনক ভাষা যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এখন থেকে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিজনক বিষয়বস্তু সরকার অনুমোদন করবে না।’ এই নির্দেশিকায় বর্ণিত একগুচ্ছ নিয়মের মধ্যে একটি নিয়েই আপত্তি তুলে আদালতে হোয়াটসঅ্যাপ। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ