পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাঞ্চল্যকর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্তে ভারতীয় নাগরিক গায়েত্রী অমর সিংয়ের তথ্য জানতে চায় তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে কর্মরত ওই নারী কর্মকর্তার সম্পর্কে জানাতে চিঠি দেয়া হয়েছে। পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বরাবর ওই চিঠি পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, ২০১৩ সালে বাবুল আক্তার কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ওই নারীর সাথে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি তখন কক্সবাজারে কর্মরত ছিলেন। যা মামলার এজাহারে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন উল্লেখ করেছেন। মামলা তদন্তের স্বার্থে তার সম্পর্কে জানতে চিঠি দেয়া হয়েছে। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন মামলায় অভিযোগ করেন, ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এদিকে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে ওই নারীর দেয়া দুটি বইয়ের ফরেনসিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য শিগগিরই আদালতে আবেদন করা হবে। জানা গেছে, ওই দুটি বইয়ের বিভিন্ন পৃষ্ঠায় গায়েত্রীর সাথে বাবুল আক্তারের সাক্ষাতের তারিখসহ বেশকিছু তথ্য লেখা রয়েছে।
১২ মে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন। তার আগে ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে মিতু খুনের ঘটনায় বাবুলের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। মিতুর বাবার করা মামলায় ওইদিনই বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখায় পিবিআই। এখন তিনি কারাগারে রয়েছেন।
খুনিরা পায় ৩ লাখ
মাহমুদা খানম মিতু কিলিং মিশনের সদস্যদের দেয়া হয়েছিল তিন লাখ টাকা। বাবুল আক্তার এ টাকা দেন। গতকাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিনের আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আলোচিত এ মামলার সাক্ষী মোখলেসুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বাবুল আক্তারের ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হকের কর্মচারী। এর আগে ১১ মে সাইফুল হক ও গাজী আল মাহমুদ সাক্ষী হিসেবে দেয়া জবানবন্দিতে একই তথ্য জানিয়ে ছিলেন। মামলার আইও সন্তোষ কুমার চামকা বলেন, মিতু হত্যার দুই থেকে তিন দিন পর বিকাশের মাধ্যমে বাবুল আক্তারের ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হক তিন লাখ টাকা দেন কাজী আল মাহমুদকে। মাহমুদ এ মামলার আলোচিত আসামি নিখোঁজ কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসার আত্মীয়। এ বিষয়ে সাইফুলের কর্মচারী মোখলেছুর রহমান আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দির বরাত দিয়ে তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্র জানায়, বাবুল আক্তার তিন লাখ টাকা দেওয়ার জন্য সাইফুলকে ফোন করেন। পরে সাইফুল মোখলেসের মাধ্যমে টাকাগুলো বিকাশের মাধ্যমে কাজী আল মাহমুদকে দেন। পরে জানতে পারেন যে তিনি টাকাগুলো তার আত্মীয় (স্ত্রীর বোনের ছেলে) মুসাকে দেন। মুসা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া বাকি আসামিদের মধ্যে ভাগ করে দেন। তবে কাকে কত টাকা দিয়েছেন, তা তিনি জানেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।