পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রংপুরের কাউনিয়ায় ২০১৫ সালে মাজারের খাদেম রহমত আলীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন আবদুর রহমান ওরফে চান্দু মিয়া। ঘটনার পর তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই সঙ্গে বদলে ফেলেন নিজের নাম-পরিচয়। এভাবে রিকশা চালানোসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গত সোমবার সাভারের গেন্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। গতকাল মঙ্গলবার এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আবদুর রহমানের বাড়ি রংপুর। তার শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায়। কুমিল্লাসহ ঢাকার আশপাশে বিভিন্ন নামে ছিলেন তিনি। রিকশা চালানোসহ অন্যান্য ছোটখাটো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি নিজে খাদেম রহমত আলীকে কুপিয়েছেন। ঘটনার সময় ১৮-১৯ বছর বয়সী ছিলেন আবদুর রহমান। একটা মসজিদে ইমামতি করতেন তিনি। আবদুর রহমান জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডে অর্থদাতা ছিলেন কয়েকজন স্থানীয়।
হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এটিইউ জানায়, খাদেম রহমত আলী ‘সুরেশ্বরী’ তরিকা পালন করতেন। বাড়ির পাশে তার বাবা-মার কবর মাজার ঘোষণা করেন তিনি। তিনি মাজার ও মসজিদ সংলগ্ন একটি দরবার শরিফ গড়ে প্রতি বৃহস্পতিবার সুরেশ্বরী তরিকা মোতাবেক অনুসারীদের নিয়ে জিকির করতেন। রহমত আলীর এসব কর্মকাণ্ড জেএমবি সদস্যদের নজরে আসে। তাদের দাবি অনুযায়ী রহমত আলী একজন ভণ্ড পীর, শিরককারী এবং দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে তাকে হত্যা করা আবশ্যক। তাই তাকে হত্যা করেন তারা। রহমত আলীর কাউনিয়ায় একটি ওষুধের দোকান ছিল। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে জেএমবি সদস্যরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জেএমবি সদস্যদের অস্তিত্ব পায়। ঘটনার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ।
বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের মার্চে আদালত সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রী, বিজয়, লিটন মিয়া ইসাহাক আলী, চান্দু মিয়া সাখাওয়াত হোসেন ও সারোয়ার হোসাইন। আবদুর রহমান ছাড়া বাকি সবাই জেলে।
এসপি আসলাম খান বলেন, আবদুর রহমান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে পালিয়ে ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবি’র ইসাবা গ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জেএমবির কয়েকজন সদস্যের নাম জানা গেছে, যারা বর্তমানে গোপনে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।