মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভয় ধরাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করে এটি পরিণত হয়েছে ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন বা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। বুধবার সকালেই পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে এই ভয়াল ঘূর্ণিঝড়। বুধবার দুপুরে পারাদ্বীপ ও সাগরদ্বীপের মাঝে বালাসোরের কাছে আছড়ে পড়তে পারে এই সাইক্লোন। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে আছড়ে পড়বে ইয়াস। ইয়াসকে কেন অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বা ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন বলা হচ্ছে?
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাইক্লোনের নানা প্রকারভেদ রয়েছে। ঝড়ের বেগের নিরিখে ভাগ করা হয় সাইক্লোনকে। ঝড়ের বেগ যদি ঘণ্টায় ২২২ কিমি বা তার থেকে বেশি হয়, তাহলে তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়। ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৬৭-২২১ কিমি হলে তাকে এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন বলা হয়। ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১১৮-১৬৬ কিমি হলে, তাকে ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন বলা হয়। ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১৭ কিমি হলে তা সিভিয়ার সাইক্লোন। ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিমি হলে সেটা সাইক্লোনিং স্টর্ম। ইয়াসের ক্ষেত্রে ঝড়ের বেগ হবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিমি। তাই ইয়াসকে ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন বা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা হচ্ছে। ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিমি।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইক্লোন একদিনে তৈরি হয় না। প্রথমে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়। এরপর নিম্নচাপ তৈরি হয়। তারপর তা গভীর নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়। এরপর অতি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়। পরে সাইক্লোনিং স্টর্ম তৈরি হয়। তারপর সিভিয়ার সাইক্লোন তৈরি হয়। এরপর ধাপে ধাপে ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন, এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন, সুপার সাইক্লোন তৈরি হয়। ঝড়ের গতিবেগের ঘূর্ণনের উপর ভিত্তি করে এটা ধার্য করা হয়। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।