Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে কিছু ক্ষতি হলেও মৌজুদ আছে ৩০ লাখ মে.টন লবণ

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২১, ৮:১২ এএম

'ইয়াস’ ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাবে দেশের একমাত্র লবন উৎপাদন এলাকা কক্সবাজারে এখন প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন লবন মৌজুদ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও মৌজুদ লবণে চাহিদা পূরণে কোন প্রভাব পড়বেনা। সংশ্লিষ্টদের মতে ঘাটতির কোন আশঙ্কা নেই।

বিসিক সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা সদর, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া ও টেকনাফসহ ৫ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ২০৯৬ মে.টন লবণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এই পরিমাণ লবণের সম্ভাব্য বাজারমূল্য গড়ে ১৬১ টাকা হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় অনুমান ৮৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪০০ টাকা।

লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় (বিসিক) কক্সবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জাফর ইকবাল ভূইয়া সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডি ১৫ হাজার মণ, ভারুয়াখালী ১০ হাজার মণ, খুরুশকুল ৩হাজার মণ, পিএমখালী ৪হাজার মণ, ঝিলংজা ১হাজার মণ ও গোমাতলীতে ১হাজাট মণ।

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে ৪হাজার মণ, ধলঘাটায় ৪হাজার ৫০০ মণ, কালারমারছড়ায় ২হাজার মণ ও হোয়ানকে ২হাজার মণ।

পেকুয়া উপজেলার মগনামায় ৫০০ মণ, উজানটিয়ায় ১হাজার মণ ও রাজাখালীতে ১হাজার ২০০ মণ।

চকরিয়ার ডেমুশিয়ায় ১হাজার মণ, বদরখালীতে ১হাজার মণ।টেকনাফের সাবরাং ১হাজার মণ।

ডিজিএম মো. জাফর ইকবাল ভূইয়া বলেন, লবণচাষিগণ সাধারণতঃ তাদের উৎপাদিত লবণ মৌসুম চলাকালীণ পর্যায়ক্রমে লবণমাঠেই গর্তে পলিথিন দিয়ে মজুদ করে রাখে। এতে জোয়ার বা অন্য কোন কারণে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও মজুদ লবণের ক্ষয়ক্ষতি হয় না। মৌসুমের শেষের দিকে বিক্রয়ের জন্য কিছু লবণ সাময়িকভাবে মাটির উপরে মজুদ থাকে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে ওই লবণের কিছু অংশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিসিকের তথ্য মতে, এবছর জেলায় লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ২২.১৭ লক্ষ মে.টন। এই পর্যন্ত সাড়ে ১৬ লাখ মে.ট. এর মতো উৎপাদন হয়েছে।

গত মৌসুমের সাড়ে ৩ লাখ মে.টন উদ্বৃত্ত এখনো রয়েছে। অবিক্রিত অবস্থায় মাঠে পড়ে আছে প্রায় সোয়া ১০ লাখ মে. টন। সব মিলিয়ে ৩০ লাখ মে.টনেরও বেশি লবণ এখন মজুদ আছে। সেই হিসেবে এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যে ছাড়িয়েছে। তাই দেশে লবন ঘাটতির কোন আশঙ্কা নেই।

লবণচাষিদের ভাষ্য মতে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হলেও দেশীয় লবণে কোন ধরণের প্রভাব পড়বে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ