Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অপমান ভোলেননি সুয়ারেজ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

ছয় বছর পর লিগ শিরোপা গেল মাদ্রিদের লাল-সাদা অংশে। ভায়াদোলিদের বিপক্ষে জয়ের পর উদযাপনে তখন মাতোয়ারা ডিয়েগো সিমিওনের দল। তখনই দেখা মিলল আর্জেন্টাইন কোচের ত‚ণের সবচেয়ে সেরা তির লুইস সুয়ারেজের, তিনি কিনা কাঁদছেন শিশুর মতো! লিগ জয়ের কারণেই যে ছিল সে আনন্দ-অশ্রæ, তা বলাই বাহুল্য। তবে কিছুক্ষণ পর এক সাক্ষাৎকারে মিলল পেছনের কারণও। আভাস দিলেন, কিছুটা ক্ষোভও জড়িয়ে ছিল তার চোখের পানিতে। জানালেন, লিগ জয়ের এ দিনে বার্সেলোনার অপমানটাকেও মনে পড়েছে সমানতালে।
বয়স বেড়ে হয়ে গেছে ৩৪। স্বর্ণসময়ের ধারটাও নেই। সে কারণ দেখিয়েই কিনা, মাত্র বার্সেলোনার দায়িত্বে আসা কোচ রোনাল্ড কোম্যান গেল মৌসুমের শেষে তাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাও আবার লিওনেল মেসির সঙ্গে যখন অস্থিতিশীল এক সময় চলছে ক্লাবের, তখন!
সেই সুয়ারেজকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ছেড়েছিল ৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে! গত সেপ্টেম্বরে দলটির হয়ে প্রথম বারের মতো মাঠে নেমে খেলেছিলেন আধা ঘণ্টারও কম সময়, করেছিলেন দুটো গোল, করিয়েছিলেন একটি। লিগের মাঝপথে যে শিরোপার লড়াইটাকে বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গিয়েছিল অ্যাটলেটিকো, তাতেও তার অবদান ছিল বেশ। মাঝে কিছুটা খেই হারালেন, দলও ধুঁকছিল তখন। ফর্মে ফিরলেন, যখন দলের খুব প্রয়োজন তখনই। শেষ দিনে শিরোপা নিশ্চিত করতে হলে জিততে হতো রোহিবø্যাঙ্কোদের, সে জয়সূচক গোলটাও এল সুয়ারেজের পা থেকেই।
সদ্যসমাপ্ত লা লিগায় তিনি করেছেন ২১ গোল। শুধু তার গোলেই সিমিওনের দল জিতেছে ২২ পয়েন্ট। তাতে যেন এটাও বুঝিয়ে দেওয়া হলো, তাকে বেচে কার্যত বার্সেলোনা শিরোপাটাই তুলে দিয়েছে অ্যাটলেটিকোর হাতে। ওদিকে বার্সেলোনাও যে মেসির পাশে একজন ফিনিশারের অভাবে ভুগেছে! ‘কি হারিয়েছ, বুঝে নাও’- জয়ের পর কান্নাতে যেন এই বার্তাটাই বার্সাকে দিতে চেয়েছিলেন সুয়ারেজ।
তবে মুখে বললেন, ‘বার্সেলোনা আমার মূল্য বোঝেনি। ওরা আমাকে ছোট করে দেখেছিল। সে সময় সুযোগের দুয়ার খুলে দিয়েছিল অ্যাটলেটিকো। আমাতে আস্থা রেখেছিল দলটা, আমি এ কথা কখনোই ভুলব না।’
তবে বন্ধু মেসির সঙ্গে কোনো খেদ নেই তার। তার বার্সা ছেড়ে যাওয়ার পর সাক্ষাৎকারে তাকে ছেড়ে দেওয়াটা যে ভুল ছিল সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন মেসি। সুযোগ পেলেই ইবিজা, মাদ্রিদ কিংবা বার্সেলোনায় সাক্ষাৎ হয়েছে দু’জনের, দুই পরিবারের। আর আন্তর্জালের যুগে নিয়মিত ভিত্তিতে দেখা করার মাধ্যম ফেসটাইম তো ছিলই।
সবশেষ ভায়াদোলিদ ম্যাচের আগেও তার সঙ্গে দেখা করতে মাদ্রিদে ছুটে গিয়েছিলেন মেসি। জানিয়েছিলেন শুভকামনাও। জয়ের পর সাক্ষাৎকারে তাই বন্ধুকেও স্মরণ সুয়ারেজের, ‘মেসি নিশ্চিতভাবেই আনন্দিত হবে। আমরা বন্ধু, আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে আমাকে শুভকামনাও জানিয়েছিল।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুয়ারেজ

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ