নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০১৩-১৪ মৌসুম কি কখনো ভুলতে পারবেন স্টিভেন জেরার্ড-লুইস সুয়ারেজরা? কত কাছে গিয়েও ছুঁয়ে দেখা হয়নি প্রিমিয়ার লিগের ট্রফিটা। সেবার তীরে গিয়ে তরী না ডুবলে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের আক্ষেপ ৬ বছর আগেই ঘুচে যেত লিভারপুলের। সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও ঘুচেছে গত পরশু রাতে। চেলসির কাছে ম্যানচেস্টার সিটি হেরে যাওয়ায় ৭ ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত হয় লিভারপুলের। অবসান হয়েছে ৩০ বছরের অপেক্ষার। অ্যানফিল্ড ভেসে গেছে আনন্দের বন্যায়। আনন্দ কি শুধু অ্যানফিল্ডেই আটকে ছিল! অ্যানফিল্ডের সীমানা ছাড়িয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে কত জায়গায়।
স্কটল্যান্ডের রেঞ্জার্সেও আনন্দের বাতাবরণ ছড়িয়েছে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে একটুর জন্য শিরোপা জিততে না পারা দলটির অধিনায়ক জেরার্ড যে এখন রেঞ্জার্সের কোচ। উত্তরসূরিরা ২ পয়েন্টের সেই যাতনা লাঘব করায় নিশ্চয়ই আনন্দে ভেসে গেছেনতিনিও! আনন্দ লেগেছে বার্সেলোনাতেও। ২০১৩-১৪ মৌসুমে লিভারপুলের তারকা স্ট্রাইকার সুয়ারেজ যে এখন খেলেন কাতালান ক্লাবটির হয়ে। মনের আনন্দটা চেপে রাখেননি সুয়ারেজ। বার্সেলোনা থেকে বার্তা পাঠিয়েছেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। লিভারপুল টেলিভিশন এলএফসি টিভিকে সুয়ারজে বলেছেন, ‘জর্ডান (অধিনায়ক হেন্ডারসন), সালাহ ও লিভারপুলের অন্য সব খেলোয়াড়- তোমাদের জন্য আমি খুব আনন্দিত। আনন্দিত তোমাদের পরিবার, লিভারপুলে যারা কাজ করছে এবং লিভারপুলের সমর্থকদের জন্যও। তোমরা সবাই মিলে মুহ‚র্তটা উপভোগ কর। কারণ লিভারপুলের সমর্থকদের জন্য এটা অসাধারণ এক ব্যাপার। তোমরা চ্যাম্পিয়ন!'
এই উপভোগের মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়েই আবার বিপদ ডেকে এনেছেন লিভারপুলের ভক্তরা। দীর্ঘ অপেক্ষা যখন ফুঁড়ায় উচ্ছ্বাসটা স্বাভাবিকভাবেই বাঁধভাঙা হবে। সেকথা মাথায় রেখে লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ হতে শুরু করে খেলোয়াড়রাও পর্যন্ত সমর্থকদের ঘরে বসে উদযাপনের অনুরোধ করেছিলেন। নিজেদের সেই নায়কদের কথাই শোনেননি তারা চেলসি-সিটি মাচের পর থেকেই রাস্তায় নামতে থাকেন তারা। বাজি-পটকা ফুটিয়ে, আনন্দ উল্লাসে একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে ৩০ বছরের আক্ষেপ মেটান তারা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদযাপনের বন্যতা আরও বাড়ে। স্থানীয় সময় রাত ১১টার পর সব রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেন মার্সেসাইড পুলিশ। এরপরও বাইরে উদযাপন করতে থাকায় ১০ সমর্থককে আটক করে তারা।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের এ সময়ে সারা বিশ্বের মতো ইংল্যান্ডের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। লকডাউন শিথিল করা হলেও সামাজিক দূরত্ব মানা বাধ্যতাম‚লক। কিন্তু লিভারপুলের সমর্থকদের উদযাপনে সামাজিক দূরত্ব নামক কোনো শব্দই ছিল না।
তবে এর মধ্যেও যারা ঘরে বসে শিরোপা উদযাপন করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে মার্সেসাইড পুলিশ। তাদের সহকারী প্রধান কনস্টেবল রব কার্ডেন বলেছেন, ‘লিভারপুল ফুটবল ক্লাবকে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা যেটায় অভিনন্দন জানাচ্ছি। আর ওইসব সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা ঘরের বসে উদযাপন করেছেন। তবে দুঃখজনকভাবে আমরা অনেককেই দেখেছি এ সময়ে বাইরে আসতে এবং স্টেডিয়ামের পাশে জড়ো হতে। তাই আমাদের কঠোর হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।