বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের শোলদি গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- সিদ্দিকুর রহমান (৩০) ও ছত্তার ঢালী (৫৫)। দুজনেরই বাড়ি শোলদি গ্রামে। ছত্তার ঢালী মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজসেবা সম্পাদক জামাল ঢালীর বড় ভাই। সিদ্দিকুর ওই গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। এর মধ্যে সিদ্দিকুর ঘটনাস্থলে এবং ছত্তার ঢালী চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেওয়ার পথে মারা যান। তাঁরা দুজনই স্থগিত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম মোল্লার সমর্থক।
জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে মারা যান আওয়ামী লীগের কর্মী সিদ্দিকুর রহমান। গুরুতর আহত অবস্থায় সাত্তার ঢালীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, সংর্ঘষের ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থগিত হওয়া উত্তর উলানিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম মোল্লা ওরফে জামাল এবং আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম ওরফে মিঠু চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে আজ সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজার আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল। ওই সংঘর্ষের জেরেই আজ ইউনিয়নের শোলদি গ্রামে একটি বিয়েবাড়িতে সংঘর্ষ বাধে।
সম্প্রতি পুরোনো উলানিয়া ইউনিয়নকে বিভক্ত করে উত্তর ও দক্ষিণ উলানিয়া নামে দুটি পৃথক ইউনিয়ন গঠন করা হয়। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নবগঠিত এই দুই ইউপিতে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমানা-জটিলতা মামলায় গত ৬ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।
এরপর থেকেই এই দুই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ-খুনোখুনি অব্যাহত রয়েছে। ৭ ডিসেম্বরের পর ওই দুই ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে অন্তত ২০ দফা সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং অন্তত ১০০-এর বেশি লোক আহত হন।
গত ১০ এপ্রিল দিবাগত ভোররাতে দক্ষিণ উলানিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছিলেন। দক্ষিণ উলানিয়ায় ইউপির স্থগিত থাকা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীকের মিলন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ রুমা বেগম সরদারের (আনারস) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।