Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ডুবে যাওয়া বার্জের ২৬ ক্রুর লাশ উদ্ধার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২১, ১২:০৪ এএম

ভারতে ঘূর্ণিঝড় তকতের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া বার্জের নিখোঁজ ক্রুদের মধ্যে ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবার মুম্বাই উপকূলে ২৬১ জন ক্রু নিয়ে বার্জটি ডুবে যায়। তাঁদের মধ্যে ৯০ জনের বেশি নিখোঁজ হন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, গত বুধবার ২৬ জন ক্রুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনো ৫৩ জন ক্রু নিখোঁজ রয়েছেন।
ডুবে যাওয়া বার্জটি ভারতের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) মালিকানাধীন। উপক‚লীয় এলাকায় খনিজ অনুসন্ধানের কাজে নিয়োজিত কর্মীদের অনুসন্ধান ক্ষেত্রগুলোয় নিয়ে যাওয়ার জন্য এসব বার্জ ব্যবহার করা হয়। যখন ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে, তখন উপকূলে নোঙর করা এসব বার্জ নোঙর ছিঁড়ে ভেসে যায়।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন শচীন শেকুইরা বলেন, ‘নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে আমরা এখনো অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আশা রাখা উচিত। এ মুহূর্তে আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো। খারাপ কিছু আমরা পিছে ফেলে এসেছি আশা করছি।’

বেঁচে যাওয়া এক ক্রু বলেন, ‘বার্জটি যখন ডুবে যাচ্ছিল, আমি সাগরে ঝাঁপ দিই। ১১ ঘণ্টা আমি সাগরেই ছিলাম। পরে নৌবাহিনী আমাকে উদ্ধার করে।’

ঘূর্ণিঝড় তাকতের আঘাতে আরও তিনটি বাণিজ্যিক বার্জ প্রায় ৭০০ লোক নিয়ে উত্তাল সাগরে আটকা পড়ে। সাগরে ভাসতে থাকা ওই বার্জগুলোর ক্রুদের উদ্ধারে তিনটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়। এসব বার্জের মধ্যে দুটি মুম্বাই উপকূল থেকে এবং আরেকটি গুজরাট উপকূল থেকে ভেসে যায়। একটি ছিল কার্গো। এটি গত সোমবার মুম্বাই উপকূল থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা ছিল।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানায়, সোমবার ভারতের পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড় তকতের তান্ডবে গুজরাটের ১২ জেলায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যটির সৌরাত্র অঞ্চলের আমরেলি জেলা। সেখানে মারা গেছেন অন্তত ১৫ জন।
গুজরাটে ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষায় দুই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং কয়েকটি বন্দর ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির কারণে অনেক গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিগত ৩০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ