প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
রাজধানীর গুলশানে তারকা দম্পতি ওমর সানি ও মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীনের মালিকানাধীন 'মন্টানা লাউঞ্জ' নামে সিসা বারে অভিযানের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ‘মন্টানা লাউঞ্জ’ রেস্তোরাঁয় নিষিদ্ধ মাদক সিসা ও সিসা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দসহ ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ১১ জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে গুলশান থানা পুলিশ। তবে ওই মামলায় অবৈধ সিসা বার পরিচালনাকারী ও ‘মন্টানা লাউঞ্জ’ রেস্তোরাঁর মালিক তারকা দম্পতি মৌসুমী ও ওমর সানীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
পুলিশ বলছে, সিসা একটি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য। সিসা বার পরিচালনা, বিক্রি ও সেবন আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণভাবে অবৈধ ও নিষিদ্ধ। মন্টানা লাউঞ্জ রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে সিসা ও সিসা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ গ্রেপ্তার হওয়া ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন রেস্তোরাঁর সেফ (রাঁধুনি) এবং বাকিরা ওয়েটার হিসেবে সেখানে সিসা লাউঞ্জে কাজ করতেন। তবে অভিযানের সময় রেস্তোরাঁর মালিক ফারদিন এহসান স্বাধীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলায় সিসা বারটির মালিক স্বাধীনকে কেন আসামি করা হয়নি জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে যাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শুধুমাত্র তাদেরই আসামি করা হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্তের বিষয়ে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ মিললে রেস্তোরাঁর মালিককেও আইনের আওতায় আনা হতে পারে। তবে মামলাটি এখন তদন্তাধীন রয়েছে।’
ওমর সানী বলেন, “শিশা আমার মেইন বিজনেস না। এটা থেকে আমার রিজিক চলে না। আমি আইনের সাথেই শতভাগ আছি। আমার প্রশ্ন গুলশানে কি শুধু একটাই লাউঞ্জ আছে? নামকরা শিশা লাউঞ্জগুলো পাঁচ-সাত বছর ধরে চলছে। আমার জানা মতে, বাংলাদেশে দুই থেকে তিনশ লাউঞ্জ আছে।”
ওমর সানী আরো বলেন, “পুরো বাংলাদেশে আজকের মধ্যেই যদি সব লাউঞ্জ বন্ধ হয়ে থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু পার্টিকুলারলি আমাকে টার্গেট করে যদি করা হয়ে (অভিযান) থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাইতেই হবে,”
সানীর এই মন্তব্যে হতাশ সোশ্যাল মিডিয়ার ভক্তরা। তাদের প্রশ্ন, একজন তারকা হয়ে একটা অবৈধ নেশার দ্রব্যের পক্ষে কীভাবে কথা বলতে পারেন ওমর সানী! তিনি আর মৌসুমী তো বিভিন্ন সময়ে নানা মাদক বিরোধী ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছেন। তবে কি ছেলের পক্ষে সাফাই গাইতেই অভিনেতার এমন ভোল বদল?’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।