যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
করোনার কারণে প্রবাসীদের সউদী আরবে ফিরে গিয়ে সাত দিন নিজের খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এমন ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে ২৪ মে পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
সউদী আরবের পাবলিক প্রসিকিউশন নতুন করে নিয়ম করেছে, কেউ যদি করোনাভাইরাস ছড়ায় তাকে পাঁচ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ সউদী রিয়াল জরিমানা করা হবে। যদি সেই ব্যক্তি প্রবাসী হয় তবে তাকে শাস্তি দেওয়ার পর সউদী আরব থেকে বিতাড়িত করা হবে। আর ওই ব্যক্তি কোনও দিন সউদী আরবে আসতে পারবে না।
সব মিলিয়েই বিপাকে পড়েছেন সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিনের নিয়ম শিথিল করে ঘরে কোয়ারেন্টিনের সুযোগ করে দেয়ার দাবি করেছেন তারা।
সউদীগামী ফ্লাইটের বোর্ডিং পাস পাওয়া যাবে না কিছুতেই, যদি না থাকে হোটেল বুকিং আর ইনস্যুরেন্স। গত ১০ মে সউদী সরকারের এ বিধিনিষেধ সউদী আরবের জেনারেল অথরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। বলা হয়েছে, যারা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেননি, তারা সউদী আরবে প্রবেশ করলে সাত দিন হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর হোটেলের ব্যয়ও বহন করতে হবে যাত্রীকেই।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২০ মে হতে ২৪ মে পর্যন্ত বিমানের সউদীগামী সকল ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছেন এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সউদীতে আসতে চাওয়া প্রবাসীরা অন্যদিকে সেখানে অবস্থা করা বাংলাদেশিরাও ফিরতে পারছেন না দেশে। এ অবস্থায় কোয়ারেন্টিনের বিধিনিষেধ শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
যাত্রীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেল বুকিং এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে করার নির্দেশনাও দিয়েছে জেনারেল অথরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সউদী আরবে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে ঢাকা থেকে ফ্লাইটে যাত্রীকে বোর্ডিং ইস্যু করা যাবে। সউদীতে পৌঁছানোর পর যাত্রীকে আরও দুবার করোনা টেস্ট করতে হবে। প্রথমবার করতে হবে সউদী আরবে পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ষষ্ঠ দিনে আবারও করোনা টেস্ট করতে হবে। টেস্ট করার খরচ যাত্রীকেই বহন করতে হবে। দুবার টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে হোটেল কোয়ারেন্টিন থেকে সপ্তম দিনে বাসায় যাওয়ার অনুমতি মিলবে।
যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। তবে ফাইজার-বায়োএনটেকের ২ ডোজ, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ ডোজ, মডার্না ২ ডোজ এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার ১ ডোজ যারা নিয়েছেন তারা হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার বদলে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকার সুবিধা পাবেন।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।