Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুম্বাইয়ে বার্জ ডুবি : ২৬ জনের লাশ উদ্ধার, এখনো নিঁখোজ ৫৩

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০২১, ১০:০০ এএম

ভারতে ঘূর্ণিঝড় তকতের জেরে ডুবে যাওয়া বার্জের নিখোঁজ ক্রুদের মধ্যে ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবার মুম্বাই উপকূলে ২৬১ জন ক্রু নিয়ে বার্জটি ডুবে যায়। তাঁদের মধ্যে ৯০ জনের বেশি নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, গতকাল বুধবার ২৬ জন ক্রুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনো ৫৩ জন ক্রু নিখোঁজ রয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আরব সাগরে বার্জটি ডুবে যাওয়ার স্থান থেকে ৫০-৬০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে মরদেহগুলো ভাসতে দেখেন উদ্ধারকর্মীরা। পরে তারা মৃতদেহগুলো উদ্ধার করেন।
বার্জটিতে ২৭৩ জন নাবিক থাকার কথা প্রাথমিক বলা হলেও পরে তা কমিয়ে ২৬১ জনের কথা বলা হয়। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৮৬ জনকে। উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।
গত সোমবার (১৭ মে) ঝড়ের কবলে পড়ে আরব সাগরে বার্জটি ডুবে যায়। এরপর বার্জের নাবিকদের উদ্ধারে আইএনএস কোচি, কলকাতা, জিস, বেতওয়া এবং ত্যাগ নামে নেভির পাঁচটি জাহাজ উদ্ধার কাজ শুরু করে। উদ্ধারে অংশ নেয় হেলিকপ্টারও।
ডুবে যাওয়া বার্জটি ভারতের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) মালিকানাধীন। উপকূলীয় এলাকায় খনিজ অনুসন্ধানের কাজে নিয়োজিত কর্মীদের অনুসন্ধান ক্ষেত্রগুলোয় নিয়ে যাওয়ার জন্য এসব বার্জ ব্যবহার করা হয়। যখন ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে, তখন উপকূলে নোঙর করা এসব বার্জ নোঙর ছিঁড়ে ভেসে যায়।
ঘূর্ণিঝড় তাকতের আঘাতে আরও তিনটি বাণিজ্যিক বার্জ প্রায় ৭০০ লোক নিয়ে উত্তাল সাগরে আটকা পড়ে। সাগরে ভাসতে থাকা ওই বার্জগুলোর ক্রুদের উদ্ধারে তিনটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়। এসব বার্জের মধ্যে দুটি মুম্বাই উপকূল থেকে এবং আরেকটি গুজরাট উপকূল থেকে ভেসে যায়। একটি ছিল কার্গো। এটি গত সোমবার মুম্বাই উপকূল থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা ছিল।
সোমবার রাতে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়ে তওকত। ‘অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে’ রূপ নেওয়া তওকতের আঘাতে গুজরাটের ১২ জেলায় অন্তত ৪৫ জনের প্রাণহানী হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র বিভাগের আমরেলি জেলায়। সেখানে মারা গেছেন ১৫।
এছাড়া রাজধানী আহমেদাবাদে ৫ জন, খেড়া জেলায় ২ জন এবং আনন্দ, ভাদোদারা, সুরাট, বালসাড়, রাজকোট, নবসারি ও পঞ্চমহল জেলায় ১ জন করে তওকতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ বিভাগের কর্মকর্তারা। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ