বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো তিনটি ঝাউ গাছ গত মঙ্গলবার দুপুরে (১১ মে) কাটা হয়েছে। গত মাস ছয়েক আগেও হাসপাতাল চত্বরের দুইটি খেজুর গাছ, একটি করে সফেদা ও কাঁঠাল গাছ কাটা হয়েছিল। সড়ক প্রশস্তের নামে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ এর বিরুদ্ধে ওই গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাতা সদস্য খলিল পহলান বলেন, সড়ক প্রশস্তের নামে সৌন্দর্যবর্ধন ঝাউ গাছ তিনটি না কেটেও সড়ক প্রশস্ত করা যেত। এভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। এতে পরিবেশ ও সৌন্দর্য বিঘ্নিত হচ্ছে।
পাথরঘাটার পরিবেশ আন্দোলন কর্মী আমিন সোহেল ও সোহেল মল্লিক বলেন, উন্নয়নের নামে পরিবেশের ক্ষতি করে সৌন্দর্যবর্ধন ঝাউ গাছ কাটা ঠিক হয়নি। বরং কৃষ্ণচূড়া ও হাসনাহেনাসহ বিভিন্ন সৌন্দর্যবর্ধন গাছ ও ফুল-ফল এবং ছায়া পরিবেশের বনজ গাছ দিয়ে সুন্দরভাবে হাসপাতাল চত্বর সাজালে আগত ব্যক্তিরা উদ্বেলিত হবেন। এতে হাসপাতালে আসা রোগি ও তাদের স্বজনদের মানসিকতারও পরিবর্তন আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবনের উত্তর পাশে পরিত্যক্ত কোয়াটার ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে সৌন্দর্যবর্ধন তিনটি ঝাউ গাছ গত মঙ্গলবার দুপুরে কাটা হয়। হাসপাতাল অভ্যন্তরে সড়ক পুনর্নির্মাণ ও ওই সড়ক প্রশস্তের নামে এ গাছ কাটা হয়েছে। তবে ওই সৌন্দর্য বর্ধন ঝাউগাছ না কেটেও সড়ক নির্মাণ করতো তবে সব দিক থেকে ভালো হতো। এতে যেমন গাছ তিনটিও রক্ষা হতো এবং সড়কও প্রশস্ত করা হতো।
নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাতাহ এর আগেও খেজুর, সবেদা ও কাঁঠালসহ চারটি ফলজ গাছ কেটে ছিলেন। যার মধ্যে দুইটি খেজুরগাছ এখনো ওই এলাকায় পড়ে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ঠুকনো অজুহাতে হঠাৎ হঠাৎ করেই তিনি হাসপাতালের গাছ কেটে সাবাড় করেন। এভাবে একের পর এক গাছ কাটলেও বন বিভাগের কাউকে মাপজোপ বা পরিদর্শন করতেই দেখা যায়নি।
বনবিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুল হক বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান কোন গাছ কাটা প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা ইউএনও স্যারসহ বনবিভাগকে অবগত করা বাধ্যতামূলক। ওই গাছের সরেজমিন প্রতিবেদন দেয়ার পরেই গাছ কাটা যাবে তা না হলে গাছ কাটা যাবে না।
অভিযোগ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ বলেন, সড়ক প্রশস্ত করতে গিয়ে গাছ কাটতে হয়েছে। গাছের শিকড়ে সড়ক নষ্ট হওয়ার কারণে ওই গাছ কাটতে হয়েছে। তবে একটা কাজের বিপরীতে দশটা করে গাছ লাগানো হবে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা বলেন, 'গাছ কাটার ব্যাপারে আমি অবগত নই। তাই এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারছিনা।'
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।