বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কলাপাড়ায় ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে গভীর রাতে রাস্তার পাশের গাছ কেঁটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার গভীর রাতে স্থানীয় লোন্দা গ্রামের মৃত রাজ্জাক মৃধার ছেলে তুহিন মৃধা তার লোকজন নিয়ে এ গাছ কেটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা খেয়াঘাট হতে কলেজ বাজার যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ রয়েছে। গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন থাকলেও স্থানীয় যার যার সীমানার গাছ তারাই দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে।
ঘটনার রাতে স্থানীয় হানিফ পঞ্চায়েত বাড়ির সামনের তিনটি বড় বড় সাইজের মেহগনি গাছ তুহিন মৃধা তার লোকজন নিয়ে রাতের আধারে কেঁটে নেয়। গাছগুলো হানিফ পঞ্চায়েতের মা মোসা. চানবরু গত ২০ থেকে ২৫ বছর আগে লাগিয়েছিল। গভীর রাতে সবার অগোচরে গাছগুলো কেঁটে নেয়ায় স্থানীয়দের মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
হানিফ পঞ্চায়েতের মা ষাটোর্ধ্ব চানবরু বলেন, ২০-২৫ বছর আগে এ গাছগুলো আমি নিজের হাতে লাগিয়েছিলাম। কিন্তু এগুলো এভাবে রাতের আধারে কেঁটে নেয়ায় ভীষন কষ্ট পেয়েছি। এগুলোতে আমাদের হক রয়েছে। কিন্তু তুহিন মৃধা গায়ের জোরে সেগুলো কেঁটে নিয়েছে। আমরা তার ভয়েও কিছু বলতে পারছি না।
তুহিন মৃধার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মসজিদের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের সম্মতিতে গাছগুলো কেঁটেছি। এ বিষয়ে ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ তালুকদার বলেন, বাড়ির সামনের গাছ তাদের অনুমতি ছাড়া তুহিন মৃধাকে কাটতে বলিনি। যাদের বাড়ির সামনের গাছ তাদের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন। বনবিভাগের কলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আ. সালামের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য জানা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।