মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গেল এপ্রিল খুব গোপনে একটি বৈঠক হয় ইরান ও সউদী আরবের মধ্যে। এ বৈঠক ঘিরে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়নে আশা দেখতে শুরু করেন অনেকে। এবার সেই একই আশার কথা শোনা গেল সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখেও।
আন্তর্জাতিক দুটি সামিটে অংশ নিতে বর্তমানে প্যারিসে আছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। সেখানে মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, আমরা কিছু আলোচনা শুরু করেছি। তবে এটা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।
এপ্রিলে দু’দেশের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে তা মূলত ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাজিমির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। ৯ এপ্রিল বাগদাদে এ বৈঠক হলেও এর খবর মূলত গোপন ছিল। পরে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায় এ বৈঠকের কথা।
২০১৬ সালে এক শিয়ার ধর্মগুরু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সউদী। এর জেরে দু’দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি ঘটে। আর বৈঠকের এক মাস পর, ১০ মে ইরান সরকার প্রথম এ বিষয়ে মুখ খোলে। তবে কোনো তথ্যই তারা দেয়নি। ইরান সরকার স্রেফ এটুকু বলে যে, বৈঠক হয়েছে, তবে এ বিষয়ে আলোচনা করার সময় এখনও আসেনি।
প্রিন্স ফয়সালও প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ইরানিরা যদি মনে করে যে প্রতিবেশিদের সাথে ভালো সম্পর্ক তাদের জন্য ভালো, তবে আমি ও সেক্ষেত্রে আশাবাদী। তবে এগুলো একেবারেই প্রাথমিমক পর্যায়ে আছে।
জুনে অনুষ্ঠিতব্য ইরানের নির্বাচনে এ আলোচনার প্রভাব কতটা পড়বে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় খুব সামান্যই প্রভাব পড়বে। এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ইরানের পররাষ্ট্রনীতি আমরা যতটুকু বুঝি তা হলো- এর পুরোটাই নির্ধারণ করেন সে দেশের সুপ্রিম লিডার। তাই সে ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আসবে না বলেই আমি মনে করি।
সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর নেতা সউদী আরব এবং শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানের মধ্যে আঞ্চলিক কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য বহু দশক ধরে উত্তেজনা চলছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরে মধ্যপ্রাচ্যে পরষ্পরের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ায় উত্তেজনা বেড়েছে।
২০১৬ সালে এক শিয়ার ধর্মগুরু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি। এর জেরে দু’দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি ঘটে। ধর্মগুরুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ক্ষোভে ইরানের বিক্ষোভকারীরা সৌদি কূটনীতিক মিশনে হামলা চালায়। এরপর দু’দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
সাম্প্রতিক আঞ্চলিক বিভিন্ন সংঘাত-সংঘর্ষে এ দুই দেশ সরাসরি লড়াইয়ে না জড়ালেও সিরিয়া, ইয়েমেনের মতো ইস্যুতে বিপরীত অবস্থান নিয়েছিল দু’দেশ। কিন্তু এপ্রিলে সউদী আরবের ক্রাউন প্রিন্স দু’দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলেন।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় বাতিল করা ইরান পরমাণু চুক্তি আবারও ফিরিয়ে আনতে চান বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আবার ট্রাম্পের আমলে সৌদির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যতটা ঘনিষ্ঠতা ছিল সে ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তনের আভাস দেখা যাচ্ছে, কারণ মানবাধিকার ইস্যুতে তেলসমৃদ্ধ সৌদিকে কিছুটা চাপে রাখতে চান বাইডেন।
সূত্র: এএফপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।