মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষের মধ্যে বেশিরভাগই মিয়ানমারের পুলিশ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। মঙ্গলবার (১৮ মে) ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারতের মিজোরাম রাজ্যের এক পুলিশ কর্মকর্তা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের উত্তরপূর্ব ছোট মিজোরাম রাজ্যে মিয়ানমারের শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির ক্ষমতাসীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এরপর দেশটির জনগণ সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করলে নিরাপত্তা বাহিনী সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমন শুরু করে। মিয়ানমারের অনেক পুলিশ জান্তার দমন আদেশ পালন না করে ভারতে আশ্রয় নেয়।
ভারতের মিজোরাম রাজ্যের পরিকল্পনা বিভাগের সহ সভাপতি এইচ রাম্মাবি জানান, এপ্রিল নাগাদ সু চি সরকারের কয়েকজন আইন প্রণেতাসহ প্রায় আঠারশ মানুষ রাজ্যে আশ্রয় নেয়। কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ তে।
নিউজ এজেন্সি রয়টার্সকে টেলিফোনে তিনি বলেন, দিনে দিনে মিয়ানমারের আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। মিয়ানমারের অনেক মানুষ মিজোরাম রাজ্যে আত্মীয়র বাসায় আশ্রয় নেয়ায় সঠিক সংখ্যা শনাক্ত করা কঠিন হচ্ছে।
ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি অংশের নৃগোষ্ঠীগত সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের বিভিন্ন অংশে যৌথ পরিবারের সদস্যরা বসবাস রয়েছে।
এইচ রাম্মাবি আরও জানান, মিয়ানমারের প্রায় ছয় হাজার মানুষ মিজোরামের রাজধানী আইজলে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যরা ভিন্ন পাঁচটি জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মিজোরামের বাসিন্দারা এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা শরণার্থীদের দেখভাল করছে। মিজোরাম রাজ্য কর্তৃপক্ষ ফেডারেল সরকারের কাছে সহায়তা চেয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে দূর্গম এলাকায় চাইলেই অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব নয়। তাছাড়া প্রত্যন্ত সীমান্তের উভয় পাশে মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ জাতিগত ও সাংস্কৃতিকভাবেও সম্পর্ক রয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটিতে চলছে অভ্য্ত্থুানবিরোধী বিক্ষোভ। চলমান এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আটক করা হয়েছে ২ হাজার ১৫০ জন। সূত্র: রয়টার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।