প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
গুলশান ১ ও ২ নম্বর সেকশনের মাঝামাঝি আরএম সেন্টার নামের ভবনে থাকা মন্টানা লাউঞ্জ নামে একটি সিসা বারে অভিযান চালিয়েছে গুলশান থানা পুলিশ। জানা গেছে, মন্টানা লাউঞ্জ’ নামের ওই রেস্তোঁরাটির তিন মালিকের একজন হলেন তারকা দম্পতি ওমর সানি ও মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন।
অভিযানে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। বার থেকে গ্রেফতাররা হলেন— দীন ইসলাম, হৃদয়, নাসির উদ্দিন, সৌরভ কস্তা, ওমর ফারুক, রিজওয়ান রোজারিও, মো. মাসুম, ইলিয়াস, জুলহাস, বিজয় ও শিমুল কস্তা।
বুধবার (১৯ মে) সকালে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি গুলশান-১ ও ২ এর মাঝামাঝি আরএম সেন্টার ভবনে মন্টানা লাউঞ্জ নামে একটি সিসা বার তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে বারটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে আমরা ১১ জনকে আটক করি। এছাড়া অভিযানে সিসা ও সিসা সেবন করার বিভিন্ন জিনিসপত্রও জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সিসা সেবন নিষিদ্ধ। তাই এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে পুলিশের অভিযানের পর সিসা বার অবৈধ কেন ছেলের হয়ে এমন প্রশ্ন রাখেন ওমর সানি। তার দাবি, তার রেস্তোরাঁ মূলত খাবারের। ‘কিছু সময়’ শিশা ‘সার্ভ’ করা হয়।
ওমর সানী বলেন, “শিশা আমার মেইন বিজনেস না। এটা থেকে আমার রিজিক চলে না। আমি আইনের সাথেই শতভাগ আছি। আমার প্রশ্ন গুলশানে কি শুধু একটাই লাউঞ্জ আছে? নামকরা শিশা লাউঞ্জগুলো পাঁচ-সাত বছর ধরে চলছে। আমার জানা মতে, বাংলাদেশে দুই থেকে তিনশ লাউঞ্জ আছে।”
ওমর সানী আরো বলেন, “পুরো বাংলাদেশে আজকের মধ্যেই যদি সব লাউঞ্জ বন্ধ হয়ে থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু পার্টিকুলারলি আমাকে টার্গেট করে যদি করা হয়ে (অভিযান) থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাইতেই হবে,”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।