মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও অন্য সশস্ত্র সংগঠনগুলোর ছোড়া রকেট হামলার ঘটনায় বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে শীর্ষ আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে 'হামাসের রকেট।' হামাসের রকেট হামলা থেকে পুরো ইসরাইল ভূখণ্ডকে প্রতিরক্ষায় বিপুল অর্থ ব্যয়ে মোতায়েন করেছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'আয়রন ডোম।'
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে আয়রন ডোমের এক ইউনিট প্রস্তুত করতেই খরচ হয় পাঁচ কোটি ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় চার শ' ২৩ কোটি টাকার বেশি)।
গাজা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রকেটগুলো খুব একটা আধুনিক নয়। কিন্তু সেগুলো রুখতে গিয়ে বহুল আলোচিত আয়রন ডোম বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করতে গিয়েই মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে ইসরাইল। আবার এত বিপুল ব্যয় করেও তারা হামাসের সব রকেট ধ্বংস করতে পারছে না। এবারের যুদ্ধে হামাসের অনেক রকেট ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আঘাত হেনেছে।
ইসরাইলের আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে যেসব স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে হামাসের রকেট আঘাত হেনেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে তেল আবিব, একটি পাইপলাইনের কাছে ও বেন গুরিয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলী উজি রুবিন ডেইলি সাবাহকে বলেন, এবার হামাস যেসব রকেট নিক্ষেপ করেছে, সেগুলো ২০১৪ সালের চেয়ে অনেক উন্নত। আর এবারই হামাস ইসরাইলের অনেক গভীরে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।
রুবিন বলেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে ২০১৪ সালের চেয়ে ২০২১ সালের হামাসের রকেটে খুব বেশি উন্নতি হয়নি। কিন্তু তীব্রতা ও সংখ্যার দিক থেকে অনেক উন্নতি করেছে।
তিনি বলেন, এছাড়া প্রমাণ হয়েছে যে আয়রন ডোমের মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি লিকপ্রুফ নয়।
আয়রন ডোম ৮০ ভাগ থেকে ৯০ ভাগ রকেট ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু ১০ ভাগ তো আঘাত হানে। আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিতে এবার হামাস একসাথে বিপুলসংখ্যক রকেট নিক্ষেপ করেছে। ফলে আয়রন ডোমের অকার্যকারিতাও প্রমাণিত হয়েছে।
আবার খরচের দিক থেকে হামাসের রকেট আর আয়রন ডোমের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বিপুল। হামাসের একটি রকেট বানাতে খরচ হয় ৩০০ ডলার থেকে ৮০০ ডলার। আর এগুলো ধ্বংস করতে আয়রন ডোমের প্রতিটি ইন্টারসেপ্টরের খরচ হয় ৫০ হাজার ডলার থেকে এক লাখ ডলার। ফলে রকেট ধ্বংস করতে গিয়ে ইসরাইলের বিপুল অর্থ নষ্ট হচ্ছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, গাজা উপত্যকা থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। সূত্র : ডেইলি মেইল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।