Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হামাসের রকেট ঠেকাতে বিপুল ক্ষতির মুখে ইসরাইল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২১, ১১:২৬ এএম

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও অন্য সশস্ত্র সংগঠনগুলোর ছোড়া রকেট হামলার ঘটনায় বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে শীর্ষ আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে 'হামাসের রকেট।' হামাসের রকেট হামলা থেকে পুরো ইসরাইল ভূখণ্ডকে প্রতিরক্ষায় বিপুল অর্থ ব্যয়ে মোতায়েন করেছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'আয়রন ডোম।'

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে আয়রন ডোমের এক ইউনিট প্রস্তুত করতেই খরচ হয় পাঁচ কোটি ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় চার শ' ২৩ কোটি টাকার বেশি)।

গাজা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রকেটগুলো খুব একটা আধুনিক নয়। কিন্তু সেগুলো রুখতে গিয়ে বহুল আলোচিত আয়রন ডোম বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করতে গিয়েই মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে ইসরাইল। আবার এত বিপুল ব্যয় করেও তারা হামাসের সব রকেট ধ্বংস করতে পারছে না। এবারের যুদ্ধে হামাসের অনেক রকেট ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আঘাত হেনেছে।

ইসরাইলের আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে যেসব স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে হামাসের রকেট আঘাত হেনেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে তেল আবিব, একটি পাইপলাইনের কাছে ও বেন গুরিয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলী উজি রুবিন ডেইলি সাবাহকে বলেন, এবার হামাস যেসব রকেট নিক্ষেপ করেছে, সেগুলো ২০১৪ সালের চেয়ে অনেক উন্নত। আর এবারই হামাস ইসরাইলের অনেক গভীরে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।

রুবিন বলেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে ২০১৪ সালের চেয়ে ২০২১ সালের হামাসের রকেটে খুব বেশি উন্নতি হয়নি। কিন্তু তীব্রতা ও সংখ্যার দিক থেকে অনেক উন্নতি করেছে।
তিনি বলেন, এছাড়া প্রমাণ হয়েছে যে আয়রন ডোমের মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি লিকপ্রুফ নয়।

আয়রন ডোম ৮০ ভাগ থেকে ৯০ ভাগ রকেট ধ্বংস করতে পারে। কিন্তু ১০ ভাগ তো আঘাত হানে। আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিতে এবার হামাস একসাথে বিপুলসংখ্যক রকেট নিক্ষেপ করেছে। ফলে আয়রন ডোমের অকার্যকারিতাও প্রমাণিত হয়েছে।

আবার খরচের দিক থেকে হামাসের রকেট আর আয়রন ডোমের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বিপুল। হামাসের একটি রকেট বানাতে খরচ হয় ৩০০ ডলার থেকে ৮০০ ডলার। আর এগুলো ধ্বংস করতে আয়রন ডোমের প্রতিটি ইন্টারসেপ্টরের খরচ হয় ৫০ হাজার ডলার থেকে এক লাখ ডলার। ফলে রকেট ধ্বংস করতে গিয়ে ইসরাইলের বিপুল অর্থ নষ্ট হচ্ছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি অনুযায়ী, গাজা উপত্যকা থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। সূত্র : ডেইলি মেইল



 

Show all comments
  • বাপ্পি ১৯ মে, ২০২১, ১১:৪৯ এএম says : 0
    এটা ভালো একটা মাধ্যম
    Total Reply(0) Reply
  • আল আমীন ১৯ মে, ২০২১, ১:২৩ পিএম says : 0
    ইসরায়েলকে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়ে বিশ্বকে শান্তিতে নিঃস্বাস ফেলতে সুযোগ করে দেয়া উচিৎ
    Total Reply(0) Reply
  • Mizanur Rahman Mizan ১৯ মে, ২০২১, ১:২৩ পিএম says : 0
    ফিলিস্তিনির আরো সহায়তা করা দরকার আমেরিকা যেরকম সহায়তা করছে ইসরাইলকে!
    Total Reply(0) Reply
  • MD Sabuj Molla ১৯ মে, ২০২১, ১:২৪ পিএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ। মুসলিমরা একদিন বিজয়ী হবেই, ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Alamin Miah ১৯ মে, ২০২১, ১:২৬ পিএম says : 0
    ইসরাইলের চার দিগ দিয়ে রকেট হামলা এক সাথে করতে হবে তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইসরাইল বৃষ্টির মত ছুরতে হবে ইরান সিরিয়া হামাস হেজবুললা সবাই মিলে
    Total Reply(0) Reply
  • Masum Khan ১৯ মে, ২০২১, ১:২৭ পিএম says : 0
    কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ইসরাইলের
    Total Reply(0) Reply
  • Rashed Ome ১৯ মে, ২০২১, ১:২৭ পিএম says : 0
    I am stand with Palestinians.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসরাইল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ