পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইল ‘যুদ্ধাপরাধ’ চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বশাসিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি। তিনি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর চলমান ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ করতে তেল আবিবের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। রোববার রাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে দেয়া বক্তৃতায় এ আহবান জানান মালিকি। তিনি বলেন, “ইসরাইল গাজায় একসঙ্গে একটি পরিবারের সবাইকে হত্যা করছে। ইসরাইল ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে পুরোপুরি বিতাড়িত করে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে সম‚লে উৎপাটন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইসরাইল আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ করে যাচ্ছে। এসব পরিভাষা সহজে কেউ ব্যবহার করতে চায় না কিন্তু ইসরাইল প্রকৃত অর্থেই এসব অপরাধ করে যাচ্ছে।” ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলকে একটি ‘বর্ণবিদ্বেষী’ সরকার হিসেবে অভিহিত করে এটির আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, “এখনই স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন, বর্ণবৈষম্য রক্ষা করতে নয়।” ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরাইল এক ধরনের কাজ করে তার ভিন্ন ধরনের ফল আশা করছে। ইসরাইল কি মনে করে তার সেনারা মুসলমানদের পবিত্রতম মাস রমজানে এবং পবিত্রতম রাত শবে কদরে তাদের পবিত্রতম আল আকসা মসজিদে আগ্রাসন চালাবে আর ফিলিস্তিনিরা নীরবে তা সহ্য করবে? তেল আবিব কি মনে করে ফিলিস্তিনিরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বসবাস করবে আর ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের হাতে তাদের পাশের বাড়িটির দখল হয়ে যাওয়া চেয়ে চেয়ে দেখবে? তারা কি এটা প্রত্যাশা করে যে, তারা ফিলিস্তিনিদের ভূখন্ড জবরদখল করে যা খুশি তাই করবে এবং এরপর ফিলিস্তিনিরা তাদের সঙ্গে সহাবস্থান করবে? পৃথিবীতে এমন কোনও মানুষ নেই যে এই বাস্তবতা সহ্য করবে।” ইরনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।