মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে আবারও বসছেন কে পি শর্মা ওলি। আস্থাভোটে হারিয়েও ক্ষমতাচ্যুত করা গেল না তাঁকে। প্রেসিডেন্টের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিরোধী দলগুলো সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারায় পদ বহাল থাকলো ওলির। দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭৬ (৩) অনুযায়ী তাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নিয়োগ দিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
ওলির সরকার আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী সংবিধানের ৭৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্যান্য দলগুলোকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে নতুন একটি সরকার গঠনের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়ে সময় বেধে দিলেও নেপালি কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়।
উভয় দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানায়, যে তারা নেপালে একটি জোট সরকার গঠনের দাবি করবে না। কারণ সরকার গঠনের জন্য যে নির্দিষ্টসংখ্যক এমপির সমর্থন প্রয়োজন তা তারা অর্জন করতে পারেনি। এরপর প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ওলিকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন।
নেপালের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন সিপিএন-ইউএমএলের চেয়ারম্যান ৬৯ বয়সী ওলি। আজ শুক্রবার তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার নেপাল সংসদে আস্থাভোটে ১২৪-৯৩ ব্যবধানে হেরে যান কে পি ওলি। কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওবাদী)-র নেতা পুষ্পকমল দহল (প্রচণ্ড) সম্প্রতি ওলির সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ায় তাঁর বিদায় অবশ্যম্ভাবী ছিল। ২৭১ সদস্যের সংসদে আস্থাভোটে উপস্থিত ছিলেন ২৩২ জন সদস্য। ওলির পক্ষে দাঁড়ান মাত্র ৯৩ জন সাংসদ। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট দেন ১২৪ জন। ১৫ জন্য সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন নেপালি কংগ্রেসের নেতা শেরবাহাদুর দেউবা। তিনি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ‘প্রচণ্ড’ ওরফে পুষ্প কমল দহলের সমর্থন পেলেও জনতা সমাজবাদী পার্টির সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাতে যেতে পারেনি নেপাল কংগ্রেস।
এদিকে নেপালের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, যেহেতু দুই বা ততোধিক দল জোট সরকার গঠনের দাবি জানায়নি, তাই একক বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়বে কে পি শর্মা ওলির দল। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।