বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত প্রতারক আওয়ামীলীগ নেতা বাদশা মিয়াকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একইসাথে তার দুই সহযোগী এস এম জাহানুর হোসাইন সাগর ও মাসুদ পারভেজকে কারাফটকে একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রোববার (০৯ মে) সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর ভার্চুয়াল আদালতে তদন্তকারি কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানী শেষে বিচারক এই আদেশ দেন। একই সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আসামী এস এম বাদশা মিয়া (৩৭) সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার নূর ইসলামের ছেলে। তার দুই সহযোগির নাম জাহানুর হোসাইন সাগর (৩৬) ও মাসুদ পারভেজ (২১)। সাগরের বাড়ি সাতক্ষীরা সদরে। আর মাসুদ পারভেজের বাড়ি নড়াইলে।
প্রসঙ্গত, গত পহেলা মে শনিবার ভোরে সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত প্রতারক আওয়ামীলীগ নেতা বাদশা মিয়াকে শহরের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন শফিকুল ইসলামের ফাস্ট ফুডের দোকানের পাশ থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। এসময় বাদশার কোমরে দুই রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি পিস্তল ছিলো।
পুলিশের ভাষ্যমতে, বাদশার স্বীকারোক্তিতে পরবর্তীতে ডাঃ এস,এম বাদশা মিয়া প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটি এর সিল, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, ২১৬, গোপালগঞ্জ-২ সভাপতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সিল, ডাঃ মোস্তফা জামান সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটির সিল, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল সংসদ সদস্য-১০০ খুলনা-২, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর অফিসিয়াল প্যাডে পুলিশ প্রধানকে (আইজিপি) লেখা ডিও লেটার, প্রধানমন্ত্রীর একান্তু সচিব লেখা অফিসিয়াল নোটপ্যাড, মানবাধিকার পত্রিকার স্ট্রিকার, ভুয়া ওয়ারেন্ট ২৫টি, মসজিদ মাদ্রসার নামে চাঁদা আদায়ের বিপুল সংখ্যক ছাপানো রশিদ ও আদায়কৃত নগদ আটষট্টি হাজার টাকাসহ বিভিন্ন ধরণের কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মহসিন আলী তরফদার বাদি হয়ে ওই দিনই সদর থানায় অস্ত্র আইনে (জিআর-২৯৯/২১ সদর) মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আরিফুর রহমান ফারাজি তাকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরদিন শুনানী শেষে মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে তাকে গত বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিন আলম চৌধুরি রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাদশার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার পাশাপাশি প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা (জিআর-৩০০/২১ সদর) দায়ের হয়েছে। যার বাদী পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোস্তফা আলম। এই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক বাবুল আক্তার প্রতারক বাদশা ও তার সহযোগিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রোববার শুনানী শেষে বাদশা মিয়াকে দুই দিনের রিমান্ড ও তার দুই সহযোগি জাহানুর হোসাইন সাগর ও মাসুদ পারভেজকে একদিন করে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরো জানান, এছাড়াও পরিচয় গোপন রেখে অবৈধ আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে প্রতারণাসহ মানহানিকর তথ্য ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে ২ মে বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আরিফুর রহমান ফারাজি বাদি হয়ে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা (জিআর-৩০৬/২১ সদর) দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ জিয়াউর রহমান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দিন আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। একই সাথে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হয়। রোববার বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেন। তবে, রিমান্ড আবেদন আদালতে এসে পৌঁছয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।