Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হামলায় আহত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের অবস্থা সংকটাপন্ন, সন্দেহভাজন দুইজন আটক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২১, ৩:৩৭ পিএম

বোমা হামলায় আহত মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তারা দুইজনকে আটক করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২৭ মিনিটে রাজধানী মালেতে মোহাম্মদ নাশিদের বাড়ির বাইরে এক বিস্ফোরণে আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে এডিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজধানী মালের বেসরকারি একটি হাসপাতালে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা ধরে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। হামলার শিকার নাশিদের মাথা, বুক ও পেট ছাড়াও তার শরীরের অন্যান্য অংশ মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অস্ত্রোপচার করা হলেও সাবেক এই প্রেসিডেন্টের অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে তার চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, মালদ্বীপের পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তারা দুই ব্যক্তিকে আটক করেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি পুলিশ। আজ শনিবার বিকেল চারটায় সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছে।
দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ৫৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ নাশিদ। দেশটির রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে তিনি এখনো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
নাশিদকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। হামলার পরই সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকও ডেকেছিলেন তিনি। তদন্তে সহযোগিতার জন্য শনিবার মালেতে পৌঁছাবেন অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত।
মালদ্বীপের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ইভা আবদুল্লা বলেন, ‘শুধু মালদ্বীপ নয়, পুরো অঞ্চলের জন্যই এ হামলা সতর্কবার্তা। তাই দ্রুত ও স্বচ্ছ অনুসন্ধান নিশ্চিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সহযোগিতাও নিচ্ছি আমরা। কোনোভাবেই সহিংস উগ্রবাদ ছড়াতে দেবো না।’
মালদ্বীপে মামুন আব্দুল গাইয়ুমের ৩০ বছরের শাসনের অবসান ঘটলে ২০০৮ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেন মোহাম্মদ নাশিদ। ২০১২ সালে এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
পরের বছর বিতর্কিত নির্বাচনে নাশিদকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন গাইয়ুমের সৎ ভাই আবদুল্লা ইয়ামিন। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ২০১৫ সালে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ওই মামলার রায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচিত হয়।
২০১৬ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় নাশিদকে। সে বছরই যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পান তিনি।
২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার সহযোগী সোলিহ জয়ী হলে দেশে ফিরে আসেন নাশিদ।
২০১৯ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে স্পিকার হন নাশিদ। মালদ্বীপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রভাবশালী পদ এটি। সূত্র : আল জাজিরা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মালদ্বীপ

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ