মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বর্তমানে মালদ্বীপ সফরে। মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আগের মতোই মজবুত রাখতে তার এই সফর। আর, এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মালদ্বীপে এখন টালমাটাল অবস্থা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভারত বিরোধিতাও।
গত ২৩ মার্চ, মালদ্বীপের পার্লামেন্ট এক জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করে। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে দু’দিন বাদেই মালদ্বীপের রাজধানী মালে-এ বিরোধীদের পূর্বঘোষিত সভার অনুমতি বাতিল করা হয়। সভাটি ডেকেছিলেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন ও তার প্রোগ্রেসিভ পার্টি। সভায় থাকার কথা ছিল অন্যতম বিরোধী দল পিপল’স ন্যাশনাল কংগ্রেস নেতা-কর্মীদেরও।
পার্লামেন্টে এই সভার বিরুদ্ধে জরুরি প্রস্তাব এনেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদের মালদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য আবদুল্লা জাবির। প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, এই সভা হলে মালদ্বীপের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ হবে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে মালদ্বীপের বিরোধেরও সূত্রপাত ঘটবে। সেই কারণে প্রস্তাবে মালদ্বীপ জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সভা এবং এই জাতীয় যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ করতে হস্তক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল।
একথা বলার কারণ, সভার বিষয়বস্তু ছিল, ‘ইন্ডিয়া আউট’। গত দু’বছর ধরেই ‘ইন্ডিয়া আউট’ শব্দদুটি ব্যবহার করছেন মালদ্বীপের বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ ও তার সরকার মালদ্বীপকে ভারতের কাছে বেচে দিয়েছে।
মালদ্বীপের রাজনৈতিক পটভূমি: ছোট দ্বীপরাষ্ট্র। জনসংখ্যা পাঁচ লক্ষ। ২০০৫-এ গণতন্ত্র এসেছে। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত হওয়ায় এর ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। সেই কারণে গত ১০ বছর ধরে ভারত ও চীন এখানে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম। এর নিকটতম বড় দেশ বলতে ভারত। স্বৈরতান্ত্রিক শাসন থেকে বর্তমানের গণতন্ত্র। সব ক্ষেত্রেই মালদ্বীপ বারবার ভারতকে বন্ধু হিসেবে পাশে পেয়েছে।
এ সম্পর্ক মজবুত হয়েছিল মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গায়ুমের সময়ে। বিংশ শতকের শেষ সময় পর্যন্ত গায়ুমই মালদ্বীপের অবিসংবাদী শাসক ছিলেন। এক উত্তেজনাপূর্ণ মুহুর্তে ভারতের এনএসজি গায়ুমের বিরুদ্ধে এক পরিকল্পিত বিদ্রোহ বানচাল করে দিয়েছিল। ওই বিদ্রোহের জন্য এক ব্যবসায়ী শ্রীলঙ্কার তামিল জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল।
বর্তমান ভারতপন্থী মালদ্বীপ সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, ভারত নাকি এক বিরাটসংখ্যক সেনা এই দ্বীপরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। এই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে বর্তমান মালদ্বীপ সরকার। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।