মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিয়ম করা হয় মেনে চলার জন্য। কিন্তু যখন কেউ এই নিয়ম ভঙ্গ করে তখন তাকে নিয়ে সমালোচনা হতে থাকে। তেমনি এবার রীতি ভেঙে স্বামীকে মঙ্গলসূত্র পরিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন এক নারী।
এদিকে গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ শেষ হওয়ার পর বিয়ের পরিকল্পনা করেন তনুজা পাটিল এবং শার্দুল কদম। কিন্তু তারা বিয়েতে ভিন্নতা আনতে চেয়েছিলেন। শত শত বছর ধরে ভারতীয় বিয়েতে যে রীতিনীতির প্রচলন রয়েছে তা পিতৃতান্ত্রিক। আর সেটাই ভাঙতে চেয়েছিলেন শার্দুল। তার ভাষায়, শুধু নারীকেই কেন মঙ্গলসূত্র পরতে হবে? খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
তখনই শার্দুল অভিনব এক প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন যে, তারা একে অপরকে মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেবেন। এতে শার্দুলের পরিবার অবাক হয়ে যায়। কিন্তু নাছোড়াবান্দা শার্দুল ঠিকই মঙ্গলসূত্র পরে বিয়ে করেন। আর বিয়ের পরও সেই মঙ্গলসূত্র গলায় ঝুলিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
চার বছর প্রেম করার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মুম্বাইয়ের এই জুটি। শার্দুল নিজেকে ‘হার্ডকোর ফেমেনিস্ট’ বলে দাবি করেন। তার ভাষায়, একপাক্ষিক এই রীতির ‘কোনও অর্থ নেই’।
তিনি বলেন, সাতপাক হওয়ার পর তনুজা এবং আমি একে অপরের গলায় মঙ্গলসূত্র বাঁধি। তখন আমার খুব আনন্দ হচ্ছিল। কিন্তু শার্দুলের এমন কাজের কারণে অনেকের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বকাঝকা এবং ট্রোলের শিকার হতে হয়েছে।
এই দম্পতি বলেন, মানুষজন বলতে শুরু করে যে ‘এখন শাড়িও পরো’, ‘তোমার কি মাসে একবার মাসিক হয়?’ এমনকি উদারপন্থী হিসেবে পরিচিতরা তাকে ট্রোল করতে থাকে। তাদের ভাষায়, লিঙ্গ সমতাকে সমর্থন করার পথ নয় এটা। কিন্তু আত্মীয়স্বজন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ট্রোলের পরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন শার্দুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।