মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হ্যাটট্রিক এই জয়ে তিনি অর্জন করেছেন দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তবে রোববারের এই জয়ের পর তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বসে থাকেননি মমতা। সোমবারই (৩ মে) দুপুরে দলের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রোববার তৃণমূলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই হিসেবে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যাবেন মমতা। এর আগে দুপুর ৩টায় মমতা তৃণমূল ভবনে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন।
টানা তৃতীয় দফায় সরকার গঠনের পর সম্ভাব্য নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। জয়ের ইঙ্গিত পাওয়ার পরই তৃণমূলের এই শীর্ষ নেত্রী হয়তো ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য মন্ত্রিসভার ছক সাজিয়ে রেখেছেন। সোমবার দুপুরের বৈঠকে সেটা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করতে পারেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আগের দু’বারের মতো এবারও মমতার মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব পেতে পারেন বিদায়ী মন্ত্রীরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসদের পাশাপাশি সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে জয়লাভ করা তারকা প্রার্থীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে নতুন এই মন্ত্রিসভায়।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই মুহূর্তে বিজয় উৎসব কিংবা অন্য কোনো উদযাপন হবে না। করোনা মোকাবিলায় সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সেটাই হবে অগ্রাধিকার।
মমতা জানান, দলের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ কবে হবে তা ঠিক হবে। তাই রাজভবনে যাওয়ার আগে জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে জরুরি আলোচনা ও কর্মপরিকল্পনা সম্পন্ন করে নিতে চান তিনি।
এবার পশ্চিমবঙ্গ মেরুকরণের ভোট হয়েছে। ফলাফলেই তা স্পষ্ট। এই লড়াইয়ে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলেই ভরসা রেখেছেন বঙ্গবাসী। ধুয়ে-মুছে গিয়েছে বাম-কংগ্রেস। সিপিএম নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই তোপ দেগে দলের সিদ্ধান্ত যেসব নেতৃত্ব উপর থেকে চাপিয়ে দেন পরাজয়ের দায় তাদেরই নিতে হবে বলে দাবি করেছেন দমদম উত্তরের বাম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য।
২০১৯ লোকসভার নিরিখে উত্তরবঙ্গের ৩৭টি আসনে এগিয়েছিল বিজেপি, ১৩টিতে তৃণমূল। একুশের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে অবশ্য উত্তর বাংলায় ভোট পুনরুদ্ধার করেছে জোড়া-ফুল শিবির। এবার তৃণমূল জয় পেয়েছে ২৭ আসনে, বিজেপির ঝুলিতে ২৬টি। জঙ্গলমহলেও সাফল্য পেয়েছে ঘাস-ফুল শিবির। কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করে মালদা-মুর্শিদাবাদেও বিরাট সাফল্য পয়েছে তৃণমূল।
তবে, উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিভিন্ন দলের দলবদলকারীরা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, প্রবীর ঘোষাল, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজাতা মণ্ডল, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সব্যসাচী দত্ত, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, শীলভদ্র দত্ত। সূত্র : ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।