মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বর্তমানে ভারতজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহ তাণ্ডব চলছে। এ ভাইরাসের প্রভাবে একের পর এক প্রাণ যাচ্ছে অগুনতি মানুষের। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের চরম সংকট। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের বহু দেশ। অনেক দেশ ভারতকে অক্সিজেন, মাস্ক, পিপিই কিট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করেছে।
দেশের অভ্যন্তরেও বহু মানুষ সাহায্য করে চলেছেন করোনা রোগীদের কল্যাণার্থে। এমনই একজন মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে যিনি এক সময় স্টেশনে কমলা লেবু বিক্রি করে সংসার চালিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি ৪০০ কোটি টাকার মালিক। তিনি করোনা রোগীদের অক্সিজেনের এই সংকটকালে দান করেছেন ৮৫ লক্ষ টাকার তরল অক্সিজেন।
এই মানবিক মানুষটির নাম হল প্যায়ারে খান। তাঁর জীবন সংগ্রাম শুরু হয়েছিল স্টেশনে কমলা লেবু বিক্রি থেকে। তাঁরা চার ভাইবোন। মা অন্য জায়গায় কাজ করতেন। সারাদিন স্টেশনে বসে কমলালেবু বিক্রি করতেন চার ভাইবোন মিলে।
সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফেরার পথে ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাড়ী ফিরতেন তাদের মা। প্রত্যহ চলত দারিদ্র্যের সাথে তুমুল লড়াই। নাগপুরের একটি বস্তিতে জন্ম তাঁর। ১৯৯৫ সালের পর থেকেই তিনি কমলালেবু বিক্রি করতে শুরু করেছিলেন। নাগপুর রেলস্টেশনে তিনি কমলা লেবু বিক্রি করতেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি একটি কুরিয়ার সংস্থায় গাড়ি চালানোর কাজ পেয়েছিলেন কিন্তু দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাজ হারিয়ে ছিলেন তিনি। তারপরে এই লড়াকু ব্যক্তি অটো চালাতে শুরু করেন।
সংগীতের প্রতি ঝোঁক থাকায় কি বোর্ড বাজানোও শিখে নেন। প্রথম থেকেই ব্যবসায়িক বুদ্ধি ছিল তাঁর। একটি ব্যাংক থেকে প্রায় ১১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে একটি ট্রাক কেনেন তিনি। ধীরে ধীরে সাফল্য হাতের মুঠোয় আসে। দু’বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করে আরো ট্রাক কেনেন প্যায়ারে খান। বর্তমানে ৩০০টি ট্রাকের মালিক। এছাড়া কয়েক হাজার ট্রাক ভাড়া নিয়েছেন তিনি। আশমি রোড ট্রান্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থা রয়েছে। ভারতের ১০টি এলাকায় রয়েছে তাঁর অফিস। তাঁর সংস্থায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অন্তত ৫০০ জন। তাঁর ট্রাক চলছে বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান।
কিন্তু কোটিপতি হওয়া সত্বেও দুঃস্থ মানুষদের কল্যাণার্থে নিয়মিত দান করেন প্যায়ারে খান। তিনি এই ভয়াবহ অক্সিজেনের সঙ্কটকালে প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন দিয়ে সহায়তা করেছেন প্রশাসনকে। প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকার অক্সিজেন তিনি নাগপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন।
এছাড়াও নাগপুরের বাইরে তিনি অক্সিজেন পৌঁছে দিয়েছেন। করোনা রোগীর আজ এখানে অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করে মারা যাচ্ছে সেখানে নিজেকে কিছুতেই সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাননি প্যায়ারে খান। তিনি প্রথম থেকেই পাশে দাঁড়িয়েছেন অসহায় মানুষদের সাহায্যার্থে। প্যায়ারে খানের এই মানবিক মুখের প্রশংসা করেছেন আপামর দেশবাসী। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।