বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বৃহষ্পতিবার তারাবির নামাজ পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়ার শনিবার সকালে বাড়ির কাছেই ধান ক্ষেতে পাওয়া গেল বগুড়া সদরের মশিউর রহমান সোনা (৩০) নামের এক দলীল লেখকের লাশ । নিহত সোনা একটি হত্যা মামলার বাদী এবং ওই মামলার আসামি তারই আপন ভাই তোতা মিয়া সম্প্রতি জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসি।
সোনা মিয়ার স্বজনরা জানান, গত বৃহষ্পতিবার তারাবির নামাজের জন্য বগুড়া সদরের বারপুরে নিজ বাড়ির পাশে মসজিদের দিকে যান সোনা মিয়া। নামাজের পর সবাই যার যার বাড়ি ফিরে এলেও সোনা মিয়া না ফেরায় দুঃশ্চিন্তায় পড়েন তার স্ত্রী সোনিয়া । নামাজে যাওয়ার সময় মোবাইল সংগে না নেওয়ায় তার সাথে যোগাযোগও করা যাচ্ছিলনা।
রাতে বাড়ি না ফেরায় বগুড়া সদর থানায় এব্যাপারে একটি জিডি করেন সোনিয়া। শনিবার সকালে বাড়ির অদুরে স্থানীয় ঈদগাহ ও রাডার ষ্টেশন সংলগ্ন স্থানের একটি ধান থেকে পচা লাশের গন্ধ বেরোলে লোকজন ঘটনাস্থলে সোনা মিয়ার লাশের সন্ধান পায় এলাকাবাসি ।
পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মযনা তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তাৎক্ষনিকভাবে কে সোনা মিয়াকে কি কারনে খুন করলো বলতে পারেনি পুলিশ। বগুড়া সদরের ওসি (তদন্ত ) আবুল কালাম আজাদ জানান , ময়না তদন্তের পর মোটামুটি কিভাবে সোনার মৃত্যু হয়েছে জানা সম্ভব হবে ।
তবে এলাকাবাসি বলেছে , ২ বছর আগে সোনার বাবা মকবুল হোসেন নানু মিয়া খুন রহস্যজনকভাবে। ওই খুনের মামলার বাদি ছিলেন সোনা মিয়া। আসামি ছিলো নান্নু মিয়ার ছেলে ও সোনার আপন ভাই তোতা মিয়া। অতি সম্প্রতি তোতা মিয়া জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছে । তাই অনেকে মনে করছেন নানু মিয়ার খুন ও খুনের আসামি তোতা মিয়ার জেল হাজত থেকে বেরিয়ে আসার ঘটনার মধ্যে কোন সংযোগ থাকতে পারে । অনেকে আবার বলছেন , তৃতীয় পক্ষ হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।