Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লেবাননের হ্রদে ভাসছে প্রায় ৪০ টন মরা মাছ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ৯:২০ পিএম

লেবাননের লিতানি নদীর কারাউন হ্রদে প্রায় ৪০ টনের মতো মরা মাছ ভাসছে। পচা মাছের দুর্গন্ধে আশপাশের এলাকাগুলোর পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে। দূষিত পানির কারণে এ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

স্বেচ্ছাসেবীরা লেবাননের দীর্ঘতম নদীর হ্রদ থেকে পচা এসব মাছ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। নদর্মার ময়লা পানি আর বর্জ্য ফেলার কারণে সেখানকার পানি দূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অ্যাক্টিভিস্টরা সতর্ক করে আসছিলেন। কিন্তু এরপরও সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

যে হ্রদটিতে এসব মৃত মাছ ভেসে উঠেছে সেখানে এখনো বহু বর্জ্য ফেলা হয়। এতে করে জলাশয়ের নিকটে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি উড়ে বেড়াচ্ছে। নদর্মার নোংরা পানি আর বর্জ্যের স্তূপ ধীরে ধীরে পানিতে মিশে যাওয়ায় হাজার হাজার মাছ নোংরা পানিতে পচে যায়।

আহমাদ আসকার নামে স্থানীয় এক অ্যাক্টিভিস্ট রয়টার্সকে বলেন, ‘হ্রদের ধারে কয়েকদিন আগে থেকেই এসব পচা মাছ আসতে শুরু করেছিল। ধীরে ধীরে বহু মৃত মাছ ভেসে ওঠে। মৃত মাছের সংখ্যাটা অসহনীয় রকমের বেশি। এটা একেবারে অগ্রহনযোগ্য।’

কয়েকদিনের মধ্যে সেখানে কমপক্ষে ৪০ টন মৃত মাছ ভেসে ওঠেছে। আসকার ও সেখানকার অন্য জেলেরা একে অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে অভিহিত করেন। কেন এতগুলো মাছের মৃত্যু হলো তার কারণ উদঘাটন ছাড়াও সেখানে বর্জ্য অপসারণ বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা।

নদী কর্তৃপক্ষ চলতি সপ্তাহে জানিয়েছিল যে, মাছগুলো বিষাক্ত হয়ে গেছে এবং এর মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তার ছড়াতে পারে। আর তাই তারা ওই হ্রদ ও তার আশেপাশে মাছ ধরা বন্ধ রাখার আহ্বান জানায়। এর কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করে।

দূষণের ফলে ওই জলাশয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে ২০১৮ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। ১৯৫৯ সালে জলবিদ্যুৎ এবং সেচের কাজের জন্য পানি সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি বড় বাঁধ দিয়ে সেখানে তৈরি করা হয়েছিল ওই জলাশয়। সূত্র : রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লেবানন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ