মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এক মাস পর ভারতের পাঁচ রাজ্যের ভোটপ্রক্রিয়া সমাপ্ত হল। আর তার ঠিক পরই, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক্সিট পোল প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থা। নামে পাঁচ রাজ্য হলেও আদতে গোটা ভারত ও তাবৎ রাজনৈতিক দলের কাছে এবার আগ্রহের ভরকেন্দ্র একটিই—পশ্চিমবঙ্গ। আর সেখানেই নরেন্দ্র মোদির কাছে চরম দুঃসংবাদ! কারণ, সিংহভাগ এক্সিট পোলই জানাচ্ছে, বাংলার মসনদে আবার বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট হল, একক গরিষ্ঠতা নিয়ে ১৫৫ থেকে ১৭৬ আসন দখল করে ক্ষমতায় আসীন হবে তৃণমূল। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বাংলা দখলের স্বপ্ন পুনরায় পাঁচ বছরের জন্য অধরা থেকে যাচ্ছে। যদিও কয়েকটি এক্সিট পোল বলেছে, সামান্য এগিয়ে থেকে সরকার গড়তে পারে বিজেপি। বাংলা হাতছাড়া হলে নরেন্দ্র মোদির গোটা রাজনৈতিক কেরিয়ারের সর্বাধিক ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে এই পরাজয়। আর জয়ী হলে তিনি হবেন আগামী দিনে ‘অপরাজেয়’। পক্ষান্তরে, সত্যিই এক্সিট পোল রোববারের ফলাফলে প্রতিফলিত হলে ভারতীয় রাজনীতির উজ্জ্বলতম তারকা হয়ে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এক্সিট পোলও হয়ে উঠেছে চরম নার্ভের লড়াই। নেপথ্যে ব্যতিক্রমী কয়েকটি সমীক্ষা। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস এবং সিএনএক্স-রিপাবলিক টিভি বলেছে ফলাফল হবে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি। এই দুই সংস্থাই বিজেপিকে এগিয়ে রেখেছে সরকার গড়ার দৌড়ে। তাদের সমীক্ষাতেও অবশ্য তৃণমূল নিঃশ্বাস ফেলছে ঘাড়ের কাছে।
বাংলার পাশাপাশি সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল হতে চলেছে কেরালায়। এক্সিট পোলে বলা হচ্ছে, কেরালায় আবার ক্ষমতায় ফিরবেন সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। অর্থাৎ এই প্রথম কেরালায় একটি দল পরপর দু’বার ক্ষমতায় আসতে পারে। তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার রেখে যাওয়া দলের কাছে বিপর্যয়ের সঙ্কেত। বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসীন হতে পারে ডিএমকে জোট। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হবেন করুণানিধি পুত্র স্ট্যালিন। আসামে প্রায় সিংহভাগ এক্সিট পোল অনুযায়ী, বিজেপি আবার সরকার গড়তে চলেছে। যদিও কয়েকটি এক্সিট পোলের রিপোর্ট— আসাম হতে চলেছে ত্রিশঙ্কু। পুদুচেরিতেও ত্রিশঙ্কুর আভাস। সামান্য এগিয়ে বিজেপির জোট। এক্সিট পোল সঠিক হলে একক দলগতভাবে বিজেপির কাছে পাটিগণিতের হিসেব দাঁড়াবে পাঁচের মধ্যে প্রাপ্তি এক। শুধু আসাম।
সিংহভাগ এক্সিট পোল কী বলছে বাংলা নিয়ে? সরকার গড়বেন মমতাই। কিন্তু বিজেপির আসন বিপুল বৃদ্ধি পাবে। যা সত্যিই বিরাট সাফল্য গেরুয়া শিবিরের। কেন সাফল্য? কারণ ২০১৬ সালে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র তিনটি আসন। সেখান থেকে এবার যদি ১০০ আসন পেরিয়ে যায়, সেটা অবশ্যই বড়সড় অগ্রগতি।
এক্সিট পোল অনুযায়ী, সর্বাধিক ধাক্কা খাচ্ছে সিপিএম। বস্তুত কোনও এক্সিট পোলেই সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চাকে ২৫ আসনের বেশি দেয়া হয়নি। অর্থাৎ প্রধান বিরোধী দল তো দূরের কথা, এক্সিট পোল অনুযায়ী সিপিএম পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে দুর্বলতম তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হতে চলেছে। সূত্র: বর্তমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।