মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রতিবছর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দাবানলের ঘটনা বাড়ছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত ১২টির মতো এমন ঘটনা ঘটেছে। এ বছর ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে মিজোরামে।
অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা বা ব্রাজিলের মতো দেশগুলোতে দাবানলে একরের পর একর বন পুড়ে যাওয়ার ঘটনা প্রতিবছরই ঘটে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচার করে সে আগুনের খবর। তবে ভারতের মিজোরামে অনেকটা নীরবে আগুনে পুড়ে শেষ হয়েছে ৫ হাজার ৮০০ একর বন।
গত সপ্তাহে মিজোরামে যে দাবানল তৈরি হয় তা নিয়ন্ত্রণে আছে আপাতত। আগুন ওই রাজ্যের দুটি জেলার ছয়টি শহর ও গ্রামেও পৌঁছেছিল। তবে এতে কারো নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারতীয় বিমান বাহিনীকেও সহায়তা করতে হয়েছে।
ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন যে, আগুনে ছয়টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫,৮০০ একর বন ধ্বংস হয়েছে। পরিবেশবিদরা এলাকায় আগুন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে আমরা আমাদের সংবেদনশীল প্রাকৃতিক অঞ্চলগুলোকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছি না।
কীভাবে আগুন লেগেছিল?
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিজোরামের লুংলেই জেলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। এর পরে এটি ধীরে ধীরে আশপাশের জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে কেন্দ্র সরকার এ বিষয়ে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার সঙ্গে কথা বলে তা কাটিয়ে উঠতে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেয়। রাজ্য সরকার আগুন নিয়ন্ত্রণে ভারতীয় বিমান বাহিনীর কাছ থেকে সহায়তা চেয়ে আসছিল এবং সে মোতাবেক আগুন নেভানোর জন্য তাদের দুটি হেলিকপ্টারও কাজে লাগানো হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও আগুন ধীরে ধীরে শহরাঞ্চলে এবং জনবসতিতে ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন মূলত রাজ্যের ছয়টি জেলাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। তবে এতে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। দমকল বাহিনীর ১১ জন কর্মী অবশ্য আহত হয়েছেন আগুন নেভানোর যুদ্ধে নেমে।
মিজোরাম রাজ্যের ঊর্ধ্বতন একজন সরকারি কর্মকর্তা বলছেন, আগুনে বনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং প্রায় ৫,৮০০ একর বন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আগুনে এলাকার ৫৩টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ২০টি পোষা প্রাণী মারা গেছে। অনেক লোককে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।