বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান (৫২)কে বুধবার রাতে পৌর শহরের মিঠাবাজার এলাকায় বাসার সামনে লোহার রড এবং হাতুড়ি পেটা করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কাউন্সিলর রিয়াজ মৃধার নিকট থেকে পাওনা টাকা নিয়ে বাসায় ফিরছিল। পথিমধ্যে মিঠাবাজার এলাকায় তার বাসায় সামনে মো. ইসফাক আহম্মেদ তোহার নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল কিশোর সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে হাতুড়ি পেটা এবং লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তার সাথে থাকা ৭৬ হাজার টাকা, স্বর্ণের চেইন ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। তার ডাক চিৎকারে শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় এবং স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তটি চলছে।

আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আহত মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, সন্ত্রাসী মো. ইসফাক আহম্মেদ তোহার নেতৃত্বে মেহেদী, জাকার, তৌকির, হাসান, রাকিব ও রবিউলসহ ১০-১২ জনের কিশোর গ্যাং আমাকে লোহার রড এবং হাতুড়ী পেটা করেছে। তিনি আরো বলেন, হামলা কারীরা আমার কাছে থাকা ৭৬ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা এগিয়ে না আসলে ওরা আমাকে মেরেই ফেলতো। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মোয়াজ্জেম খানকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহু রয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।