মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা নাজুক ভারতরে পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই বিপর্যস্ত ভারতের পাশে দাঁড়াতে অক্সিজেন, টিকা তৈরির কাঁচামালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ। দেশটির বড় বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ধনী অভিনেতারা দিচ্ছেন নগদ অর্থ। কিন্তু এত কিছুর পরেও এই বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ডুবতে বসা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নৌকার সব ছিদ্র বন্ধ করতে যেসব আন্তর্জাতিক সহায়তা আসছে তা কতটুকু যথেষ্ট তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজেস ডায়নামিকস, ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিসির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. রামানন লক্ষ্মীনারায়ণ বিভিন্ন দেশের সহায়তার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েই বলেছেন, ভারতের এখন মরিয়া অবস্থা। এসব সহায়তায় সংকটের ছিটেফোঁটা হয়তো মিটবে কিন্তু পুরোপুরি না।
এর আগে গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চিকিৎসা, করোনা পরীক্ষার কিট, ভেন্টিলেটর এবং পিপিই সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সেইসঙ্গে টিকা তৈরির কাঁচামাল রপ্তানিতে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাও তুলে নেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টুইটে বলেন, মহামারীর শুরুতে আমাদের হাসপাতালগুলোতে যখন চাপ বাড়ছিল, তখন ভারত যেভাবে আমাদের সহায়তা পাঠিয়েছে, ভারতের প্রয়োজনেও আমরা সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর। সামনের মাসগুলোতে নিজেদের মজুদ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ছয় কোটি টিকার ডোজ অন্যান্য দেশকে দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
মূলত করোনা ভাইরাস মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে ছিল ভারত। এখন এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হতে পারে টিকা। ডা. রামানন লক্ষ্মীনারায়ণ বলেন, ভারত যদি দ্রুততার সঙ্গে টিকা উৎপাদন বাড়াতে পারে এবং জরুরি ভিত্তিতে অন্য কোম্পানিকে টিকা তৈরির অনুমোদন দেয়, তাহলে করোনা ভাইরাসের এই সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এটাই এই সংকটের একমাত্র দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। ভারত যদি চায়, তবে সেটা করার সামর্থ্য তাদের আছে।
এদিকে চলমান বিপর্যয়কর পরিস্থিতি ভারতের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্স। তারা বলছে, মহামারীর এই ধাক্কায় ধসে যেতে পারে ভারতের অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইরন ব্রিলিয়ান্ট বলেছেন, তাদের অনেক কোম্পানি ভারতীয় কর্মীদের তাদের কাজে ব্যবহার করে। এ জন্য ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। তাদের ধারণা, ভারতের পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার আগেই ভয়াবহ অবনতি ঘটতে পারে। এ অবস্থায় ভারতের অর্থনীতির জন্য বড় রকম ঝুঁকি আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।