Inqilab Logo

রোববার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের দর্পচূর্ণ, দ্বারে দ্বারে হাত পাতছেন ‘দাতা’ মোদি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৬:২২ পিএম

ঠিক ১২ দিন আগেও আন্তর্জাতিক মঞ্চ— রাইসিনা আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গর্ব করে জানিযেছিলেন, ৮০টি দেশকে ভারত ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছে। চাহিদার তুলনায় এই রফতানি অত্যন্ত কম, এই আফশোস করতেও শোনা যায় মোদিকে। বলেন, ‘ভারত তার সম্পদ (মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাকসিন) বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চায়।’

দু’সপ্তাহের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির সরকার দাতার আসনচ্যুত হয়ে বিশ্বের দরবারে হাত পাতছে। অক্সিজেন, প্রতিষেধকের কাঁচামাল, ওষুধ, পিপিই কিট, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ভেন্টিলেটর— সব কিছুর জন্যই আমেরিকার মুখাপেক্ষী ভারত। সহায়তা নিতে হচ্ছে শত্রু চীনের থেকেও। অক্সিজেন আনতে হচ্ছে দুবাই থেকে। পরিস্থিতি এমন যে অমৃতসরের কংগ্রেস সাংসদ গুরজিত সিংহ প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠিতে লিখেছেন, ওয়াগা সীমান্ত বরাবর পাকিস্তান থেকে অক্সিজেন নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হোক। প্রসঙ্গত, এর আগে পাকিস্তান এই সঙ্কটে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিযেছেন। শ্রীলঙ্কায় চীনা দূতাবাস থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, হংকং থেকে ৮০০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিল্লি পাঠানো হয়েছে। এই সপ্তাহে আরও ১০ হাজার যাবে।

সবচেযে বড় কথা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বহু বিজ্ঞাপিত প্রতিষেধক-কূটনীতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত বেশ কিছু দেশ (নেপাল, শ্রীলঙ্কা) ভারতীয় প্রতিষেধকের উপর নির্ভর করে দ্বিতীয় ডোজ-এর পরিকল্পনা করেছিল। প্রথম ডোজ ভারত থেকেই পাঠানো হয়েছিল, কিছুটা সৌজন্য উপহার, কিছুটা দু’দেশের বাণিজ্যিক সংস্থার মধ্যে চুক্তি এবং কিছুটা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রোটোকলের নিয়ম অনুসারে। কিন্তু আপাতত কোনও দেশকেই পাঠানো হচ্ছে না প্রতিষেধক।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের খবর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘নোট ভার্বাল’ দিয়ে জানানো হয়েছে, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের ওষুধ সংস্থা বেক্সিমো-র বাণিজ্যিক চুক্তি হলেও প্রতিষেধক আপাতত পাঠানো যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আমেরিকা থেকে কাঁচামাল না আসা এবং দেশের অভূতপূর্ব সঙ্কটের কথাই বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

গত কয়েক মাস বিভিন্ন মঞ্চে প্রতিষেধক কূটনীতিকে কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন মোদি, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ-এর জেরে যে ভাবে নড়ে গিয়েছে ভারতের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং তা যে ভাবে প্রকাশ্যে চলে এসেছে, তাতে কূটনৈতিক ভাবেও মুখ পুড়ছে কেন্দ্রের, এমনটাও মনে করা হচ্ছে। আজ বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে মোদি সরকারের ব্যর্থতা শিরোনামে এসেছে। ‘ইকনমিস্ট’, ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ‘টাইম’-এ সরাসরি মোদীকে দোষারোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘ভারত এখন নরকের নামান্তর, ধ্বংসের মুখে এবং এর জন্য মোদির নীতিই দায়ী।’ সূত্র: এবিপি।



 

Show all comments
  • Mujibur Rahman ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৭:০২ পিএম says : 5
    ভারত দাতা হয় বাংলাদেশে! কিছু দিন পর পর ভুয়া ঋণ, বিনিয়োগ, অনুদানের চুক্তি হয় আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচার করা পর্যন্ত এর কার্যকারিতা থাকে এর পর ঘোড়ার ডিম! নানা পরিকল্পনায় কার কত লাভ কত উন্নয়ন তাঁর উপর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ চলে মনের বিলাসে, কিছু দিন পর পরি উড়ে যায় কল্পনা
    Total Reply(0) Reply
  • Mukit ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৭:০৩ পিএম says : 4
    মোদিজি কোথায় গেল তোমার আত্ম অহংকার ?
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Hafeez ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৭:০৩ পিএম says : 3
    মোদি যেদিকে যায়,অশান্তির আগুন ছড়ায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammed Washim ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৭:০৪ পিএম says : 3
    ভারতের কট্টরপন্থীদের শিক্ষার জন্য এটা দরকার ছিল
    Total Reply(0) Reply
  • রোদেলা ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৭:০৫ পিএম says : 5
    বাংলাদেশকেও সতর্ক হতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Sonjoy ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৮:৩৩ পিএম says : 5
    ভারতের বিচার শুরু হয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • Seiam Ahmed ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম says : 0
    আমাদের এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ