নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা লড়ছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পাশে থাকাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতের এই স্পিন অলরাউন্ডার তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইপিএল থেকে বিরতি নেওয়ার। গতপরশু রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অশ্বিন। তার সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে তার ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালস। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আইপিএলের চলমান আসরে ফেরার আশাবাদও জানিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী এই তারকা।
গতপরশু রাতে সুপার ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে দিল্লির রোমাঞ্চকর জয়ের পর আইপিএল ছাড়ার ঘোষণায় অশ্বিন লিখেছেন, ‘কাল (গতকাল) থেকে এ বছরের আইপিএল থেকে আমি বিরতি নিচ্ছি। কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিপক্ষে লড়ছে আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা। এই কঠিন সময়ে আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। পরিস্থিতি সঠিক দিকে এগোলে আমি খেলায় ফিরব বলে প্রত্যাশা করি। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ধন্যবাদ।’
কয়েকদিন আগে ভারতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়েও টুইট করেছিলেন অশ্বিন। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত থাকা কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি তিনি সবাইকে নিরাপদে থাকতে আহবান করেছিলেন, ‘আমার দেশের চারিদিকে যা ঘটছে, তা দেখে আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাওয়াদের সঙ্গে আমি যুক্ত না থাকলেও তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। সতর্ক ও সুরক্ষিত থাকার জন্য আমি প্রত্যেক ভারতীয়ের প্রতি আমি আন্তরিক আবেদন জানাই।’ অশ্বিনের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় টুইটারে দিল্লি লিখেছে, ‘এই কঠিন সময়ে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের প্রতি আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। দিল্লি ক্যাপিটালসের সকলের পক্ষ থেকে আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য শক্তি কামনা ও প্রার্থনা করছি।’
যদি ভারতীয় ক্রিকেটাররাই শঙ্কা কাটিয়ে আসরে খেলতে না পারে তবে বিদেশীদের অবস্থা কেমন তা আর বলা অপেক্ষা রাখে না। তার রেশ পড়তে শুরু করেছে এবারের আইপিএলে। অশ্বিনসহ গত ২৪ ঘন্টায় মোট চার ক্রিকেটার মাঝপথেই বিদায় বলেছেন এবারের আসরকে। বাকি তিনজনই অস্ট্রেলিয়ান- অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও কেন রিচার্ডসন।
অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার জ্যাম্পা ও পেসার রিচার্ডসন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দুজনই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর স্কোয়াডের সদস্য। তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি এদিনই নিশ্চিত করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এক বিবৃতিতে বেঙ্গালুরু জানিয়েছে, ‘অ্যাডাম জ্যাম্পা ও কেন রিচার্ডসন ব্যক্তিগত কারণে অস্ট্রেলিয়াতে ফিরে যাচ্ছেন। আইপিএলের বাকি অংশে তাদেরকে পাওয়া যাবে না। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু সব ধরনের উপায়ে তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে।’
তবে আগের দিনই দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের অজি পেসার টাই। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ব্যক্তিগত কারণে আইপিএল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনিও। তবে নিজ দেশের রেডিও স্টেশন এসইএনকে টাই বলেছেন ভিন্ন কথা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সীমান্ত বন্ধ হয়ে গেলে অস্ট্রেলিয়াতে ফেরা নিয়ে শঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। জ্যাম্পা আর রিচার্ডসনও যে করোনার কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন, তা আলাদা করে না বললেও চলে। আইপিএলে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের অনেকের মধ্যেই বিরাজ করছে শঙ্কা। সেটা বোঝা গেছে মুম্বাই থেকে দোহা হয়ে সিডনিগামী বিমানে চড়া টাইয়ের মন্তব্যে, ‘অবশ্যই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। আমার ফেরার কথা শুনে অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি কোন পথে ও কীভাবে বাড়িতে ফিরছি, তা জানতে অনেকে ভীষণ আগ্রহী ছিল।’
এছাড়া গত সপ্তাহে টাইয়ের রাজস্থান সতীর্থ লিয়াম লিভিংস্টোন ফিরে যান ইংল্যান্ডে। জৈব-সুরক্ষা বলয়ে দীর্ঘদিন থাকার মানসিক ধকল নিতে না পারার কথা জানিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আপাতত আইপিএলের চলতি মৌসুম স্থগিত কিংবা বন্ধ রাখার কোনো ইচ্ছা নেই বিসিসিআইয়ের। সংস্থাটির এক জ্যেষ্ঠ অফিশিয়াল নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে আইপিএল চালিয়ে যাওয়া হবে। তবে কেউ যদি ছেড়ে যেতে চায়, তাতে কোনো সমস্যা নেই।’
উল্লেখ্য, ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। গতকাল দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেখানে মারা গেছেন ২ হাজার ৮১২ জন। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মারা গেছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।