মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। রোববার আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন সেনা অধিনায়ক জেনারেল অস্টিন স্কট মিলার এ-সংক্রান্ত প্রস্তুতির কথা সাংবাদিকদের জানান।
জেনারেল মিলার বলেন, তার কাছে এখন অনেকগুলো নির্দেশ রয়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের অংশ হিসেবে সামরিক স্থাপনগুলো ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন চলতি মাসের শুরুর দিকে ঘোষণা দেন, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। আর আগামী ১ মে থেকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে জঙ্গি হামলা হয়। সেই হামলার জের ধরে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানে যায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম এই যুদ্ধের ২০ বছর পূর্তির আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তালেবান উৎখাতের পর কাবুলে মার্কিন সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত হয় বেসামরিক আফগান সরকার। বর্তমান আফগান সরকার এখন নিজ দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম বলে মনে করছে মার্কিন প্রশাসন।
তালেবানের সঙ্গে আগের মার্কিন প্রশাসনের করা এক গোপন চুক্তি অনুযায়ী, মে মাসে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট বাইডেন মে মাস থেকেই এ-সংক্রান্ত কাজ শুরু করছেন। তবে সুশঙ্খলভাবে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য তিনি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নিচ্ছেন। জেনারেল মিলার বলেছেন, ১ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করার কথা। তবে মাঠপর্যায়ের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান জঙ্গিরা দেশটির ক্ষমতা দখল করে নিতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে নিরাপত্তার বাহিনীর তিন লাখ সদস্য রয়েছেন বলে বলা হচ্ছে। তবে এই সংখ্যা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তা ছাড়া দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। জেনারেল মিলার নিজেই বলেছেন, আফগান সেনাদের প্রস্তুতির কথা জানতে চাওয়া হলে সব সময় একই উত্তর পাওয়া গেছে। আর তা হলো তাদের অবশ্যই সক্ষম হয়ে তৈরি থাকতে হবে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হলেই আফগানিস্তানের প্রকৃত অবস্থা কতটা নাজুক, তা জানা যাবে বলে অনেকে মনে করছেন। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানে মার্কিন স্বার্থের ওপর আঘাত এলে যুক্তরাষ্ট্র উপযুক্ত জবাব দেবে। আফগানিস্তানে প্রত্যাহারের অপেক্ষায় থাকা কোনো মার্কিন সেনার ওপর হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র সমুচিত জবাব দেবে।
আফগানিস্তানে এখনো প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছেন। তাদের প্রত্যাহার করা হলে আফগানিস্তানে নিরাপত্তাঝুঁকি সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করে আফগান নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর। আফগানিস্তান এখন আর যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য আফগানিস্তান নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে এখন নিজের দেশের দিকেই বেশি নজর রাখতে হচ্ছে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।