মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহামারিতে বিপর্যস্ত ভারতকে জরুরি ভিত্তিতে টিকা তৈরির কাঁচামাল দিতে রাজি হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রীও পাঠানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় রোববার (২৫ এপ্রিল) তিনি এ কথা জানান।
এর আগে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতে টিকা তৈরির কাঁচামাল পাঠাবে বলে জানায় বাইডেন প্রশাসন। রোববার ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে কোভিশিল্ড টিকা প্রস্তুত করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল জরুরি ভিত্তিতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, ভারতে টিকা তৈরির কাঁচামাল রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সবাইকে টিকা দিয়ে তবেই কাঁচামাল রপ্তানি করবে তারা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ভারতের পক্ষ থেকে বার বার বাইডেন প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে, টিকার কাঁচামাল রপ্তানির ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নিতে। এই প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের টিকা দেওয়ার কাজ খুব ভালোভাবে চলছে। আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে আমেরিকার প্রত্যেককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আগে দেশের মানুষের কথা ভেবেই টিকার কাঁচামাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’
প্রাইস আরো বলেন, ‘বিশ্বে করোনায় সবথেকে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু আমেরিকায় হয়েছে। তাই এখানকার প্রতিটি মানুষকে টিকা না দেওয়া হলে পরবর্তীতে ভাইরাসের নতুন কোনো রূপ দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাতে অন্যান্য দেশেরও সমস্যা হতে পারে।’
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ধসে পড়েছে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। অক্সিজেন, টিকা, ওষুধসহ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সংকট দেখা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বারবার সহায়তা চায় ভারত। পরে সমালোচনার মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ভারতকে সহায়তার কথা জানায় ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র এমিলি হর্ন বলেছেন, ‘ভারতের করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে পিপিই কিট, র্যাপিড টেস্ট কিট, ওষুধের সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর পাঠানো হবে।’
ভারতকে সহায়তা পাঠানোর কাজে মার্কিন কর্মকর্তারা এখন পুরোটা সময় কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-র একটি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দলকেও দিল্লি পাঠানো হবে। তারা মার্কিন দূতাবাস ও ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে মহামারি মোকাবিলায় কাজ করবেন। সূত্র : সিএনএন, এনডিটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।