মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পরিবেশবাদী অ্যাকটিভিস্ট গ্রেটা থানবার্গ জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যুকে উপেক্ষা করায় বিশ্বের ক্ষমতাশালী রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের এক শুনানিতে অংশ নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান, তারা যেন জলবায়ু সংকটকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন। -এএফপি
জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছেন ১৮ বছর বয়সী গ্রেটা। ২০১৮ সালে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে অভিনব কায়দায় আন্দোলন শুরু করে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন তৎকালীন ১৬ বছর বয়সী কিশোরী গ্রেটা থানবার্গ। তিনি ওই বছর ‘ইয়ুথ স্ট্রাইক’ নামক সে আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতি শুক্রবার সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান নেওয়া শুরু করেছিলেন । তার এই অবস্থানের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে বেগবান হয় জলবায়ু আন্দোলন। তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে দুনিয়াজুড়ে এই আন্দোলনে শামিল হন লাখ লাখ মানুষ। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ অধিবেশনেও জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বৃহস্পতিবার বক্তব্য রাখেন গ্রেটা। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা থেকে যে ক্ষমতাশালীরাও রেহাই পাবে না সে কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। আইনপ্রণেতাদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে গ্রেটা বলেন,`আর কতদিন আপনারা বিশ্বাস করে যাবেন যে আপনাদের মতো ক্ষমতায় থাকা মানুষরা এর থেকে পার পেয়ে যাবেন? আর কতদিন ভাববেন যে জলবায়ু সংকট, ন্যায্যতার বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ঐতিহাসিক নির্গমনকারীদের দায়বদ্ধ করার বিষয়কে উপেক্ষা করে চালিয়ে নেওয়া যাবে?’ গ্রেটা যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, সে একই দিনে (২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার) আর্থ ডে উপলক্ষে ভার্চুয়াল জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে সম্মেলনে যোগদানকারী বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্য করে গ্রেটা বলেন, ক্ষমতাশালী স্বার্থ ও আইনপ্রণেতারা বিশ্বজুড়ে জীবন-যাপনের ক্ষেত্রগুলো ধ্বংসে ভূমিকা রাখছেন। এ পরিবেশকর্মী আরও বলেন, ‘আপনারা এখন হয়তো পার পেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু শিগগিরই মানুষ বুঝতে পারবে যে আপনারা আসলে এ সময়ে কী করেছিলেন।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কার্বন নিঃসরণ কমানোর বৈশ্বিক উদ্যোগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান। তবে বাইডেনের প্রশাসন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আবারও বিশ্ব নেতৃত্বের আসন পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন। এই লক্ষ্যে জলবায়ু বিষয়ক দুই দিনের ভার্চুয়াল সম্মেলন আয়োজন করেন তিনি। সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ অর্ধেক কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। তার প্রশাসন আশা করছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণকারী অন্য বড় দেশগুলোও তাদের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে নেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।