যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
করোনার একাধিক ভেরিয়েন্টের পর ভারতে আরেকটি নতুন ধরণের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। ভারতের নতুন ধরণটি হচ্ছে ৩ বার রূপ পরিবর্তনকারী ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিত্য নতুন রূপে যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে একটা মাস্কে আর রক্ষা নেই। রাস্তায় বের হলে বা ভিড়ের মধ্যে যেতে হলে দুটো করে মাস্ক পরাই বেশি জরুরি।
কোভিডের ডবল মিউট্যান্ট, ট্রিপল মিউট্যান্ট প্রজাতি দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। সংক্রমণের মধ্যেও বাইরে বের হতে হচ্ছে বহু মানুষকে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন তার উপায় বললেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দুটো করে মাস্ক পরলে সংক্রমণ থেকে অনেকটাই রেহাই মিলবে। জোড়া মাস্ক কিছুটা হলেও নাক-মুখ দিয়ে ভাইরাস পার্টিকল ঢুকতে বাধা দেবে। ডাবল মাস্কিং কোভিডের সংক্রমণ ৯৬.৪ শতাংশ রুখে দিতে পারে।
ডাবল মাস্কিং কী? : ডাবল মাস্কিং হল দুটো করে ফেস-মাস্ক পরা। একটার ওপর আরেকটা। নাক ও মুখ ঢেকে প্রথম মাস্কটা একটু টাইট করে পরতে হবে। তার ওপর চাপাতে হবে আর একটা। দুটো মাস্ক একসঙ্গে পরলে তা চেপে বসবে নাক ও মুখের ওপরে। ভাইরাসের কণা চট করে ঢুকতে পারবে না। মাস্কের দুটো ফিল্টার লেয়ার পর পর থাকায়, ভাইরাসের জলকনা মাঝপথেই আটকে যাবে। সংক্রমণ থেকে অনেকটা সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
কীভাবে পরবেন দুটো মাস্ক? : বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুটো মাস্ক পরার নিয়ম আছে। যে কোনো দুটো মাস্ক বেছে নিলে হবে না। প্রথমটা হতে হবে সার্জিক্যাল মাস্ক, তার বাইরেরটা কাপড়ের মাস্ক। আগে সার্জিক্যাল মাস্ক পরে তার ওপরে কাপড়ের মাস্ক পরতে হবে। অথবা দুটো কাপড়ের মাস্কও পরা যেতে পারে।
তিন-লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক হলে সেটা পরে তার ওপর হাল্কা কাপড়ের বা ফ্যাব্রিকের মাস্ক চাপিয়ে নেওয়া যেতে পারে। দুটো সার্জিক্যাল মাস্ক কিন্তু কখনোই পরা যাবে না। আবার কেউ যদি এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করেন তাহলে তার সঙ্গে অন্য কোনো মাস্ক চলবে না। ডাবল মাস্কিংয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে মাস্ক নাকের নীচে বা গলায় না ঝোলে।
সিডিসি’র গাইডলাইন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, দুটো করে মাস্ক পরলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কাপড়ের মাস্ক গরম পানিতে ধুয়ে নিলে ভাল হয়। বার বার মাস্কে হাত দেবেন না। বাড়ির কারো ব্যবহার করা মাস্ক বা অন্যের পরা মাস্ক একেবারেই চলবে না। ডাবল মাস্কিং করতে হলে দুটো করে মাস্ক জোড়ায় জোড়ায় আলাদা করে রেখে দিন। একই কম্বিনেশন প্রতিদিন না পরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরলে ভাল হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ : গোটা বিশ্বে করোনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়েই চলেছে। এতে করে আগামী কয়েক বছর তো বটেই, সারা জীবনের জন্য মাস্ক অপরিহার্য হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু কাপড়ের না সার্জিক্যাল মাস্ক, সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কোনটা বেশি ভাল, তা নিয়ে এখনো পরিষ্কার ধারণা নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে।
করোনায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় অনেকে আবার কাপড়ের মাস্কই বেছে নিচ্ছেন। সে কথা মাথায় রেখে কাপড়ের মাস্ক পরার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। মাস্ক পরা কিংবা খোলা, যে কোনো সময় মাস্ক ধরার আগে হাত ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
মাস্কের কোথাও কোনও ছিদ্র বা ছেঁড়া রয়েছে কি না, দেখে নিতে হবে ভাল করে। অনেক সময় দেখা যায়, মাস্ক পরার পর মুখের দু’পাশে ফাঁক রয়েছে। তা কোনো ভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। মাস্ক পরার পর মুখ, নাক এবং থুতনি সম্পূর্ণ ভাবে ঢাকা থাকতেই হবে।
সার্জিক্যাল মাস্ক একবার পরার পরই ফেলে দিতে হবে। তবে কাপড়ের মাস্ক পুনর্ব্যবহারযোগ্য। ফের ব্যবহার করতে চাইলে সাবান বা ডিটারজেন্টে ভিজিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। দিনে একবার গরম পানিতে সাবান মিশিয়ে মাস্ক ধুয়ে নিলে ভাল হয়। সূত্র : বিবিসি নিউজ, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, ডেকান হেরাল্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।