Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে টেন্ডারের দ্বিগুণ গাছ কর্তনের অভিযোগে টিএনও হস্তক্ষেপে শত শত গাছ রক্ষা

দিনাজপুর অফিস | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২১, ১:৫২ পিএম

টেন্ডার হয়েছে ৬’শ গাছ বিক্রির। ঠিকাদার কেটে নিয়েছে এক হাজারেরও বেশী গাছ। বিষয়টি স্থানীয় মানুষদের নজরে আসলে গণহারে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়। লিখিত অভিযোগ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে। অভিযোগ পেয়ে গাছ কাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। রাস্তার পার্শ্বে সরকারী উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ হরিলুটের ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ৩ নং কাজিহাল ইউনিয়নে।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে দেয়া অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে দাসিয়াড়া হতে চকিয়াপাড়া পর্যন্ত রাস্তার দুই পার্শ্বের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার মানিক রতন। জানা গেছে দীর্ঘদিন আগে ৬’শ গাছ বিক্রির জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে প্রাক্কলিত মুল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে দরপত্র পরে। দ্বিতীয়দফা আবার দরপত্র আহবান করা হলে ভ্যাট ও আয়কর ছাড়া পাঁচ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা দর দিয়ে টেন্ডার জমা দেন ঠিকাদার মানিক রতন।

এলাকাবাসী জানায়, উক্ত এলাকায় প্রায় ৩ হাজার গাছ রয়েছে। এরমধ্যে ৬’শ গাছে নম্বর দেয়া হয়। টেন্ডারের আগে গাছে নম্বর উল্লেখ করা হয়। কেবলমাত্র নম্বর দেয়া গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় এবং ঠিকাদার ্ওইসব গাছই কাটবেন। কিন্তু ঠিকাদার গাছ কাটতে কাটতে নম্বরবিহীন গাছও কাটতে থাকে। এতে তাদের সন্দেহ হলে তারা ঠিকাদারের লোকজনকে নম্বরবিহীন গাছ কাটার কারন জানতে চান। জানাজানি হওয়ার ভয়ে ঠিকাদার রাতারাতি টেন্ডারের বাহিরে থাকা গাছগুলি কেটে বিভিন্ন এলাকায় জমা করতে থাকেন। রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে কাটা গাছ গ্রামের বিভিন্ন স্থানে স্তুপ অবস্থায় এখনো পড়ে রয়েছে।
টেন্ডারের বাহিরে লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারী গাছ কাটা অব্যাহত রাখে প্রভাবশালী ঠিকাদার। এক পর্যায়ে গত ১৩ এপ্রিল জনৈক মোশাররফ হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। তিনি তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান। এ ব্যাপারে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ঠিকাদার মানিক রতন তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী করেন।

রাস্তার পার্শ্বে টেন্ডারে বিক্রি করা ৬’শ গাছের জায়গায় হাজারের উপর গাছ কাটার চিহ্ন এখনো দৃশ্যমান রয়েছে। এতে সরকারের যে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। অবৈধভাবে কাটা গাছগুলি উদ্ধার করে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা এবং দায়ী ঠিকাদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেছে এলাকাবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হস্তক্ষেপ

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ