গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বর্তমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও আগামীর কর্মসূচী সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গত সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী মাওলানা মামুনুল হককে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর পর থেকে তাকে ডিবিতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমান সময়ে মাওলানা মামুনুল হক একজন গুরুত্বপূর্ণ আসামি। তাকে নিদিষ্ট মামলার বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে যে সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত রোববার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকে প্রথমে তাকে মোহাম্মদপুর থানা ও পরে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। গত কয়েকদিনে মামুনুল হক ছাড়াও হেফাজতে ইসলামের আরো বেশ কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত সোমবার ১৯ এপ্রিল মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাজেদুল আদালতে মামুনুল হককে হাজির করেন।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামুনুল হককে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৬ মার্চ মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ এলাকায় সাত গম্বুজ মসজিদে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামি মাওলানা মামুনুল হক ও তার ভাই মুহতামিম মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার ছাত্র আসামি ওমর এবং ওসমান, বাদী ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্যদের মসজিদের ভেতর আমল করতে নিষেধ করে। তাদের ধর্মীয় কাজে আঘাত করে তাদেরকে আসামিরা মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলে ।
বাদী তার প্রতিবাদ করলে মাওলানা মামুনুল ও তার ভাইয়ের নির্দেশে ওই মাদরাসার আরও ৭০/৮০ জন ছাত্র মাদরাসা থেকে বের হয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে। ওমর ও ওসমান তাদের হাতের লাঠি দিয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর আসামিরা বাদীর কাছে থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল, নগদ ৭ হাজার টাকা, ২০০ ডলার ও ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ডেবিড কার্ডসহ বাদীর মানিব্যাগ নিয়ে যায় এবং পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করতে দেখলে তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় আসামিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।