প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
'ইদানিং নারীর অগ্রাধিকার চর্চা করতে গিয়ে আমরা ‘সমাধিকার’ শব্দটি ভুলে যাচ্ছিনা তো? কিছু হইলেই আগে পুরুষরে ধইরা পিটাও! অথচ রিসার্চে পাওয়া গেছে, বাংলাদেশে ৮০% বিবাহিত পুরুষ স্ত্রীর মানসিক নির্যাতনের শিকার। বিষয়টা একবার ভেবে দেখবেন।'
বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভারতের জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া বাংলাদেশের মাইনুল আহসান নোবেল এমন একটি পোস্ট দিয়েছেন।
২ ঘন্টা পেরুতে না পেরুতেই পোস্টটিতে কয়েক হাজারের বেশি কমেন্ট পড়েছে। সেখানে অনেকেই নোবেলের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন লিখেছেন- আপনার দুঃখ ভরাকান্ত পোস্ট দেখে বুঝাই যাচ্ছে, আজকে হয়তো আপনার বউয়ের সাথে এক চোট হয়ে গেছে নাহলে কোথাও ফেঁসে গেছেন। আরেকজন লিখেছেন-নোবেল ভাইয়া যে বউয়ের কেলানি খাইছে এটা সোজাসুজি বলতে না পেরে ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে এই পোস্টটা দিছে। কেউ লিখেছেন- এতদিন মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আজ ঘরে ঢুকলে ১০০% শারিরীক নির্যাতনের শিকার হবেন। আবার কেউ নোবেলকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে লিখেছেন- তা তোমার হঠাৎ এমন মনে হলো কেনো? ব্যাপারটা খুব ভাবাচ্ছে।
নিজেকে নোবেলের তৃতীয় স্ত্রী মেহেরুবা সালসাবিলের আত্মীয় উল্লেখ করে একজন লিখেছেন, আমিতো শুনেছি মেহেরুবাকে আপনি মেরেছিলেন। সমান অধিকার হলেতো ও আপনাকে মারতে পারতো। এগুলা বইলেন না, শুনলে হাসি পায়। মেহেরুবার আত্মীয় আমি। আমি শিওর আপনার অন্যান্য আত্মীয়রা এগুলা শুনে হাসে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত জানা যায়, প্রথমে নোবেল রিমি নামে এক মেয়েকে বিয়ে করলে সেই বিয়ে টেকেনি। এরপর নোবেল তার এক আত্মীয়কে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই মেয়েও নোবেলের বিরুদ্ধে গৃহ হিংসার অভিযোগ এনে বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন। সবশেষে নোবেল তার গানের অনুরাগী মেহেরুবাকে তৃতীয় বউ হিসেবে ঘরে তোলেন। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন নোবেল। শুধুমাত্র স্ত্রীর প্রতি নয়, নিজের মা এবং বোনের সঙ্গেও অকথ্য ব্যবহার করেন নোবেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।