প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
গতকাল (মঙ্গলবার) হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। গত ১২ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। টানা ৮ দিন হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরলেন এই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী। করোনা পজিটিভ হওয়ার পর যেসব জটিলতা ছিল, আপাতত তা নেই। কিডনির সমস্যাও এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে বাসায় নেওয়ার অনুমতি দেন।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ফরিদা পারভীন এখন অনেকটাই সুস্থ। করোনার কোনো উপসর্গ এখন আর তার মধ্যে নেই। তার অক্সিজেন মাত্রাও স্বাভাবিক আছে। তবে তার করোনা রেজাল্ট এখনো পজিটিভ। এই অবস্থায় বাসায় থেকে আইসোলেশনে থাকবেন তিনি। আশা করি, খুব শিগগিরই তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন।’
গত মাসের শেষ দিকে জ্বর ও খুসখুসে কাশি ছিল ফরিদা পারভীনের। করোনার উপসর্গ ভেবে একাধিকবার নমুনা পরীক্ষা করান। দুবারই ফলাফল নেগেটিভ আসে। সর্বশেষ ৮ এপ্রিল ফরিদা পারভীনের করোনা শনাক্ত হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কয়েক দিন বাসায় চিকিৎসা নিলেও পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনির জটিলতা, ডায়াবেটিস, উচ রক্তচাপসহ থাইরয়েড জটিলতায় ভুগছিলেন।
ফরিদা পারভীন লালনের গান গেয়ে দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন। ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে ফরিদা পারভীন লালন সংগীতের তালিম নেন।
১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।