Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আমতলীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ৯:০৯ পিএম

বরগুনার আমতলী উপজেলার পূর্ব সোনাখালী গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোনা মিয়া শুনু হাওলাদার নামে এক বৃদ্ধকে (৭০) তার ফুফাতো ভাই মেনাজ ফকির ও তার লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত সোনা মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানাগেছে, উপজেলার পূর্ব সোনাখালী গ্রামের সোনা মিয়া হাওলাদারের সাথে তার ফুফাতো ভাই পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের কাঞ্চনবাড়ীয়া গ্রামের মেনাজ ফকিরের সাথে এক একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার বেলা সারে ১১ টার দিকে ওই জমিতে মেনাজ ফকির ২০-২২ জন নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষাবাদ শুরু করেন। খবর পেয়ে সোনা মিয়া হাওলাদার তাদের জমি চাষাবাদে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেনাজ হাওলাদার, মোতালেব, আদম আলী ফকির, আবুল মৃধা, মোস্তফা ও তার লোকজন বৃদ্ধ সোনা মিয়া হাওলাদারকে মারধর শুরু করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। মেনাজ হাওলাদারদের ভয়ে এলাকাবাসী সোনা মিয়াকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। ঘাতক মেনাজ ফকির ও তার লোকজন সোনা মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে বীরদর্পে লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই দিন বিকেলে পুলিশ তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মেনাজ ফকিরের নেতৃত্বে ২০-২২ জন সন্ত্রাসী এসে জমিতে চাষাবাদ শুরু করে। এতে বাঁধা দেয় সোনা মিয়া হাওলাদার। এক পর্যায় তারা সোনা মিয়া হাওলাদারকে পিটিয়ে হত্যা করে বীর দর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের ছোট ভাই আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, ভাইকে রক্ষায় আমি মেনাজ ফকিরের পায়ে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করেছি। কিন্তু তাতে মেনাজ ফকির ও তার লোকজনের মন গলাতে পারিনি। তারা আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনায় বিচার দাবী করছি।

নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের ছেলে জালাল হাওলাদার বলেন, আমার বাবাকে মেনাজ ফকির, মোতালেব, আদম আলী ফকির, আবুল মৃধা, মোস্তফাসহ ২০-২২ জন সন্ত্রাসী পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটার বিচার চাই।

আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো বলেন, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরগুনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ