নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটছে। প্রস্তুত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোটি টাকার জিমনেশিয়াম। মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনে এই জিমের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা এর উদ্বোধনের।
একটি একাডেমি ও জিমের জন্য ফুটবল সংশ্লিষ্টদের আক্ষেপ যুগ যুগ ধরে। এ দু’টির জন্য বাফুফেকে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি। তবে সব সমালোচনাকে পেছনে ঠেলে সিলেট বিকেএসপি ও রাজধানীর বেরাইদের ফর্টিস গ্রুপের মাঠ হয়ে একাডেমির স্থায়ী ঠিকানা হতে যাচ্ছে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। আর ফুটবলারদের জন্য অত্যাধুনিক জিমনেশিয়াম নির্মাণ হয়েছে বাফুফে ভবনেই।
সর্বশেষ নির্বাচনে বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের ইশতেহারে অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল একটি অত্যাধুনিক জিমনেশিয়াম নির্মাণ করা। চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যেই জিম তৈরির কাজে হাত দেন সালাউদ্দিন। এই জিমনেশিয়াম তৈরিতে তিনি পাশে পান তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিককে। যিনি গত বছরের অক্টোবরে সর্বশেষ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো বাফুফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। মানিকের সহযোগিতায় ১৪/বি মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনের সামনে খোলা মাঠের পূর্বপাশে আর্টিফিশিয়াল টার্ফের কোল ঘেষে নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক এই জিমনেশিয়ামটি। এ বছরের মার্চের মধ্যে জিম নির্মাণ কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সালাউদ্দিনের। কথা রেখেছেন বাফুফে বস। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ হয়েছে জিমনেশিয়াম নির্মাণ কাজ। তবে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও দেশে চলমান লকডাউনের কারণে বহুল আকাঙ্খিত এই জিমের উদ্বোধন করতে দেরী হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ মঙ্গলবার বলেন,‘জিমনেশিয়ামের সব কাজ শেষ। যন্ত্রপাতিও এসে গেছে। ওগুলো ফিটিং করতে একদিন সময় লাগবে। লকডাউন শেষ হওয়ার পরই উদ্বোধন করা হবে অত্যাধুনিক এই জিমের।’ এই জিমনেশিয়াম নির্মাণে বাফুফের খরচ হচ্ছে প্রায় কোটি টাকা। যার পুরোটাই দিয়েছে তমা গ্রুপ। তাই এই জিমনেশিয়ামের নামকরণ হয়েছে ‘বাফুফে-তমা এলিট ট্রেনিং সেন্টার।’
অত্যাধুনিক জিমনেশিয়ামের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রেখেই বাফুফে নির্মাণ করেছে এই ট্রেনিং সেন্টার। বাফুফের চাহিদামতো জিমের ভবন নির্মাণ কাজ করেছে তমা গ্রুপ। আর কোটেশনের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি কিনেছে বাফুফে। দেশের ফুটবলাঙ্গনে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এই জিমনেশিয়াম। তাই এর উদ্বোধনটাও হবে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই। এমনটাই জানান সোহাগ। তার কথায়,‘আমরা জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জিমনেশিয়াম উদ্বোধন করবো বলেই লকডাউন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি। আমরা মন্ত্রী, মেয়র, ক্লাব কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান তারকা খেলোয়াড়র এবং সংগঠকদের আমন্ত্রণ জানাবো জিমনেশিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর বেশি সময় নেবো না। খুব শিঘ্রই উদ্বোধন হবে নব-নির্মিত এই জিমের।’
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক জানান, দেশের ফুটবল অঙ্গনের সবাইকে এই জিম ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হবে। তবে অগ্রাধিকার পাবেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। বাকিদের কিভাবে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া যায় তা সমন্বয় করতে বাফুফে একটি নীতিমালা তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৩০ জন ব্যবহার করতে পারবেন এই জিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।