পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
প্রায় ১০ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায় আগামী মে মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। বিশ্লেষকদের ধারণা, নির্বাচন হলেও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদই রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে রোববার সিরিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার হামমৌদা সাববাঘ আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, যেসব সিরিয়ান দেশের বাইরে অবস্থান করবেন তারা আগামী ২০ মে সংশ্লিষ্ট দেশে থাকা সিরিয়ার দ‚তাবাসে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সোমবার থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আবেদন জমা দেবেন। গৃহযুদ্ধ শুরুর পর দেশটিতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আগের ভোট হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেবারের নির্বাচনে বাশার আল আসাদ ৯২ শতাঙ্ক ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছিলেন। সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত কোটি কোটি সিরিয়ান এবারের এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য হবেন না বলে ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল-জাজিরা। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার বাবা হাফিজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হন বাশার আল-আসাদ। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অঙ্কগ্রহণ করার ঘোষণা তিনি এখনো দেননি। ২০১১ সালে আরব বসন্তের ঢেউ লেগে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। আসাদ সরকার কঠোর হাতে বিক্ষোভ দমন শুরুর পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। সহিংসতার মধ্যেই ২০১৪ সালে হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রায় ৯০ শতাঙ্ক ভোট পেয়েছিলেন। সিরিয়ায় ২০১২ সালের সংবিধান অনুযায়ী সাত বছর মেয়াদে একজন প্রেসিডেন্ট দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে ২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বাইরে। এছাড়া প্রার্থী হতে একজনকে টানা ১০ বছর সিরিয়ায় বাস করতে হবে। তাই প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য যেসব বিরোধী নেতা নির্বাসনে রয়েছেন তারা প্রার্থী হতে পারবেন না। ফলে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫১ বছরের শাসনের অবসান ঘটনার কোনো ইঙ্গিত নেই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অবশ্য কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবার আসাদ পরিবারের বাইরের কেউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ওই দুই প্রার্থী খুব একটা পরিচিত ছিলেন না বা দেশের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তা ছিল না বললেই চলে। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।