Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১০ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ৯:২৭ এএম

মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, ব্যাপক সাইবার হামলা এবং অন্যান্য বৈরী কর্মকাণ্ডের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে রাশিয়ার ১০ কূটনীতিককেও বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মস্কোর বিরুদ্ধে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

হোয়াইট হাউস বলছে, মস্কোর সরকারের সঙ্গে ঋণ লেনদেনকারী যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি, গুপ্তচরবৃত্তিতে অভিযুক্ত ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কার এবং ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টাকারী ৩২ রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলছে, বাইডেনের এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে একটি সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। সেটি হলো— রাশিয়া যদি আন্তর্জাতিকভাবে তাদের অস্থিতিশীল কার্যক্রম চালিয়ে যায় অথবা বৃদ্ধি করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর কৌশলগত এবং অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর ব্যয় চাপিয়ে দেবে।

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর অংশীদার ও অন্যান্যদের অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার প্রচেষ্টা ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টাকে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রথম কারণ হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।
এতে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থিতায় সহায়তার অংশ হিসেবে ২০১৬ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনের সময় রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ধারাবাহিকভাবে ভুল ও নোংরা কৌশল প্রচার করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র ও অংশীদারদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ক্ষতিকর সাইবার কর্মকাণ্ডের জবাবেও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সোলারউইন্ডস করপোরেশনের তৈরি করা সফটওয়্যারের নিরাপত্তা ভেদ করে লাখ লাখ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। ওই সাইবার হামলার ফলে সোলারউইন্ডস করপোরেশনের পণ্য ব্যবহার করা অসংখ্য মার্কিন কোম্পানির এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়েছে হ্যাকাররা। এই সাইবার হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন।

হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া দেশের বাইরের ভিন্নমতাবলম্বী এবং সাংবাদিকদের টার্গেট ও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ রয়েছে এমন দেশগুলোর সুরক্ষা ব্যবস্থা খর্ব করার চেষ্টা করেছে।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন এবং কানাডার সাথে মিলে ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

মস্কোর বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে দুই দেশের সম্পর্কে আরো উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, গত মাসে এক বক্তৃতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বাইডেন ‌‘খুনি’ মনে করেন বলে মন্তব্য করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পর দুই দেশের সম্পর্ক স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

সূত্র: এএফপি, রয়টার্স



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ